পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টনেই বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে বিএনপির প্রচার উপকমিটির উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা হয়। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে গঠিত প্রচার উপকমিটির আহ্বায়ক মীর সরফত আলী সপু, সদস্য সচিব প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রচার উপকমিটির নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওমর ফারুক সাফিন, আকরামুল হাসান, ফেরদৌস আহমেদ খোকন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের গণমাধ্যম নানাভাবেই চাপে পড়ে। আমাদের সমাবেশ নিয়ে গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন হবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা। সরকার বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নিয়ে তান্ডব চালাচ্ছে। কখনো অনুমতি দেয় কখনো দেয়না। অনেক সময় অনুমতি দিলেও শারীরিক আক্রমণ করছে। ২২ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৮ জন নেতা মারা গেছেন। সর্বশেষ আমাদের সাবেক এমপি মারা গেছেন। শেখ হাসিনার আক্রমণ থেকে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে কেউ বাদ যায়নি।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বাধা বিপত্তি দিলেও কর্মসূচি থাকবে। আপনারা জানেন আমাদের সমাবেশ ঘিরে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পরিবহন ধর্মঘট ডাকে। যেই বিএনপির সমাবেশ শেষ তাদের ধর্মঘটও শেষ।
রিজভী আরো বলেন, ঢাকার সমাবেশ নিয়ে এখনো আমাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। গণমাধ্যমে জানতে পারছি সরকার অন্য জায়গায় অনুমতি দিতে চায়। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ হবে। এখানে অতীতেও আমরা অনেকগুলো বড় সমাবেশ করেছি। সুতরাং এখানে সমাবেশের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন ধানে কিভাবে নয়া পল্টনে সমাবেশ হয়। কেননা সভা হচ্ছে আমাদের সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করার দায়িত্ব তো আমাদেরই।
অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেন, আমাদের দাবি দাওয়া মেনে নিলে তো সমাবেশ করা লাগবে না। তারা আমাদের দাবিসমূহ মানলেই হলো। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। তবে যেখানেই বাধা আসবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আজকে পঞ্চাশ বছর পরও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মতো আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ। জিয়া পরিবারের জন্মই হয়েছে দেশের মানুষের জন্য। আজকে শুধু তারেক রহমানের হাতে ক্ষমতা নেই। দেশের সব মানুষের হাতে ক্ষমতা। নয়া পল্টনেই আমরা দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করবো। কারণ সবদিক বিবেচনায় নয়া পল্টন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। সরকার বাধা দিলে বুঝতে হবে তাদের দূরভিসন্ধি রয়েছে। আজকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের পতনের কোনো বিকল্প নেই।
মীর সরফত আলী সপু বলেন, আমরা ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে করতে চাই। এজন্য আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি চলছে। আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং তারা নয়া পল্টনে বিএনপিকে গণসমাবেশর অনুমতি দিবে। কোনো টালবাহানা করলে জনগণ প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালনের আহ্বান জানান সপু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।