বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্যবসায়ীর ৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগের মামলায় পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বল মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মুরাদ হুসাইন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এরপর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ২৪ নভেম্বর তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৬ নভেম্বর রাসেল নামে এক ব্যক্তিকে ৯ লাখ টাকা দেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার শাহ আলম। কথা ছিল ওই টাকা মতিঝিল শাখার আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে জমা দেওয়ার। কিন্তু সকাল ১০টার দিকে রাসেল টাকা নিয়ে মতিঝিলের জনতা ব্যাংকের কাছে এলে মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি তার কাছে পরিচয় জানতে চান। ওই ব্যক্তি তখন নিজেকে পুলিশ পরিচয় দেন। একপর্যায়ে রাসেলের ব্যাগ চেক করে টাকা দেখে বলেন, অবৈধ ব্যবসা করে টাকা উপার্জন করেছে। তখন রাসেলকে ওই ব্যক্তি মারধরও করেন। এসময় ঘটনাস্থলে আরেকজন এসে রাসেলকে বলেন, স্যার যা বলে তাই শোন, তোর ভালোর জন্য বলতেছি। তুই মোটরসাইকেলে ওঠ, না হলে স্যার কিন্তু তোর কঠিন ক্ষতি করবে।
রাসেল ভয়ে মোটরসাইকেলে ওঠেন। এরপর তাকে হানিফ ফ্লাইওভারের সায়েদাবাদ ঢালে এনে নামিয়ে দেন পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি। আর ৯ লাখ টাকা নিয়ে যান।
ঘটনার পর রাসেল ওই দুই ব্যক্তিকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকেন। সবশেষ ২৩ নভেম্বর মতিঝিলে ওই দুই ব্যক্তিকে দেখেন রাসেল। এসময় উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় তাদের আটকানোর চেষ্টা করে তিনি। একপর্যায়ে উজ্জ্বল মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হলেও অপরজন পালিয়ে যান। এরপর ৯ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাসেল মতিঝিল থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বল মিয়া গ্রেফতার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।