Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খলিলপুর হাজী ছানাউল্লাহ স্কুলে গৌরবময় ৫০ বছর পূর্তি উৎসব

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে এম এ জলিল সরকার : পার্বতীপুর প্রত্যন্ত পল্লীর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাপ্তিতে পূর্ণতায় পার্বতীপুর উপজেলার খলিলপুর হাজী ছানাউল্লাহ বিদ্যালয়ের সূবর্ণ জয়ন্তী উৎসব গৌরবময় ৫০ বৎসর পূর্তিতে উদ্যাপন গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান এমপি। তিনি বলেন, এই এলাকাটি মুক্তিযোদ্ধার গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এই এলাকায় আমি যুদ্ধ করেছি। বর্তমান স্কুলটি শিক্ষার আলো দিচ্ছে, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে এগিয়ে যাচ্ছে।
গত বাজেটে ছিল শিক্ষাখাতে ৩২ হাজার কোটি টাকা বর্তমান বাজেটে ৫৮ হাজার কোটি টাকা শিক্ষা খাতে ব্যবহার করা হবে। সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে না পারলে সমাজের ক্ষতি হবে এবং শিক্ষার্থীরা দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। আমার মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষার্থীদের বিস্কুট বাবদ বছরে দুই কোটি টাকা ব্যয় করা হয় ও শিশুদেরকে এবারে টিফিনবক্স দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী। বিশেষ অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরফদার মাহমুদুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো: হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক, মডেল থানার ওসি মো: মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপত্বিত করেন স্কুলের জমিদাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ মো: আমজাদ আলী সরদার।


বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছে না সোহাগ!
নাটোর জেলা সংবাদদাতা : কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারিং (ই) ইউনিটে ১২ হাজার ৩৯১জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করা দরিদ্র পরিবারের সন্তান সোহাগ এখন ভর্তির টাকা যোগার করতেই দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সোহাগ এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় নাটোর সিটি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ৪.৮৩ জিপিএ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে নাটোর সদর উপজেলার পাইকেরদৌল সেখেরহাট এলাকার দিনমজুর মোজাম্মেল হক ও শাহানারা বেগমের একমাত্র ছেলে। সোহাগের বড় বোনও বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাসে পড়ছে। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় সোহাগ ইঞ্জিনিয়ারিং (ই) ইউনিটে প্রথম স্থান অর্জন করা ছাড়াও সে টাঙ্গাইলের মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটে ১২৮তম স্থান অর্জন করেছে। সোহাগের বাবার কোনো জমিজমা নেই, দু’টি মাটির ঘরে তাদের বসবাস। তার বাবা দিনমজুরী করে যা আয় করেন তা দিয়ে চারজনের সংসারে তিন বেলা দু-মুঠো অন্ন যোগানোই কঠিন। তার উপরে দুই সন্তানের উচ্চশিক্ষার ব্যয়ভার বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। তাই সমাজের বিত্ত্ববান ও হৃদয়বানদের মেধাবী ছাত্র সোহাগের শিক্ষাজীবন চালু রাখতে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তার বাবা দিনমজুর মোজাম্মেল হক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ