বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, আগামী কয়েকমাস দেশকে ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। যারা কখনো ভোটে নির্বাচিত হয়নি তারা নানা উপায়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। কারণ বিএনপি কখনই আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। আপনারা আপনাদের পলাতক নেতার নির্দেশে মাঠে লাফাচ্ছেন। মিষ্টির দোকানের সামনে বড় তাওয়া থাকে। সে তাওয়া চুলায় বসিয়ে গরম করা হয়। গরম হওয়ার পরে সেটায় পরোটা দেয় এক সেকেন্ডে হয়ে যায়। আপনারদের তাওয়া। আপনাদের গরম করে তারা খেলছে। বিএনপি এখন দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি ভাইয়া গ্রুপ যার নেতা থাকেন লন্ডনে আর তিনি সেখান থেকে নির্দেশনা দিচ্ছে দেশে বোমাবাজি মানুষ হত্যা করতে। আরেকটি গ্রুপ আম্মা গ্রুপ। ভাইয়া গ্রুপ চায় না আগামী নির্বাচন হোক তাদের টার্গেট ২০২৮ সাল। তাই সকলকে এ সময়টা সজাগ থাকতে হবে। নারায়ণগঞ্জকে বিশেষ টার্গেট করা হয়েছে। তারা শুধু লাশ চাচ্ছে।
২৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নতুন পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। এদিন প্রাক্তন প্রশাসক আনোয়ার হোসেন বিদায় নেন ও নতুন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল সহ সদস্যরা দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শামীম ওসমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন খুনীদের সঙ্গে কোন আলোচনা হবে না। নির্বাচনে আসলে আসুক না আসলে নাই। আমাদের এ নারায়ণগঞ্জেও অনেকে নেতা হয়ে আস্ফালন দেখাচ্ছে। বিএনপি নেতা তৈমূরের ভাই সাব্বিরকে হত্যা করা হয়েছিল মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায়। তারাই এখন আস্ফালন দেখায়।
তিনি বলেন, সারা দুনিয়া আজ সঙ্কটে। তার পরেও বাংলাদেশ ভালো আছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। তারা আজ এ নেত্রীকেও মারতে চায়। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সম্পদ না বরং দেশের সম্পদ।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, বিদায়ী প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, নব চেয়ারম্যান চন্দন শীল সহ সদস্যরা।
শামীম ওসমান বলেন, আমি ভোটে পাশ করেছিলাম। নেত্রী বলেছিলেন ঢাকা বিভাগে একমাত্র তুমি পাশ করেছো। সেখানে আমাদের নেতাদের গণহারে গ্রেফতার করা হল। আমরা এগুলো মোকাবিলা করেছি। ঢাকায় আমার বাড়ির পেছনে গর্ত করে ঢোকা হয়েছিল। পরে আমার ফলাফল বদলে দেয়। অনেকে বলেন আমি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছি। আমি যাইনি, আমি পঙ্গু ছিলাম। নেত্রীর নির্দেশে আমাকে যেতে হয়েছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম মরতে নয় মারতে সৃষ্টি হয়েছি। মারতে বলতে অস্ত্র হাতে মারা নয়। রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।