বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল ২৮ নভেম্বর সোমবার। দীর্ঘ দশ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কাউন্সিলকে ঘিরে পদ প্রত্যাশি নেতাদের দৌঁড়ঝাপ চলছে। তবে স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে কাঙ্খিত উচ্ছাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটের পরিবর্তে কেন্দ্র কর্তৃক জেলা কমিটি গঠনের সম্ভাবনাই এর অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন। এদিকে দীর্ঘ দশ বছরে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বে ও ক্ষমতায় থাকা নেতাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীসহ কেন্দ্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার বিষয়টি অত্যন্ত পরিষ্কার। আওয়ামী সভানেত্রী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বিচক্ষনতার বিষয়টি ক্ষমতার সুফল পাওয়া নেতাদের কপালে ভাজ সৃষ্টি করেছে। এবারের কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্বের চমক থাকার বিষয়টিকে ঘোষণার কারণেই সফলভাবে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকেই আগামী তিন বছরের নির্বাচিত কমিটি গঠন করার বিষয়টি সাধারন নেতাকর্মীদের উৎসাহে ভাটা সৃষ্টি করেছে। পদ প্রার্থীরা তাই স্থানীয় পর্যায়ের কাউন্সিলর ও নেতাদের চেয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দিকেই মনোনিবেস করেছে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র মতে এবারের কাউন্সিলে ৪৭৭ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। কাউন্সিলররা সরাসরি ভোট দিয়ে তাদের জেলা কমিটির নেতা নির্বাচিত করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এবার অন্যান্য সকল কমিটির মত কেন্দ্র থেকেই জেলা কমিটির নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে। একটি সূত্র আওয়ামী সভানেত্রী ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সুদূর প্রসারী চিন্তা চেতনায় অনেক আগে থেকেই তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কার্যক্রম মূল্যায়ন করছেন। তারই ভিত্তিতে দলের স্বার্থে যোগ্য নেতা নির্বাচন এখন কেন্দ্রের লক্ষ্য। সূত্রটির মতে ৬টি আসন নিয়ে দিনাজপর জেলার নেতৃত্বে থাকা নেতাদের দ্বন্দ্ব স্থানীয় পর্যায়ে যেমন ওপেন সিক্রেট তদরুপ কেন্দ্রও ওয়াকিবহাল। কয়েকজনের ব্যাপারে রয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। যা আগামীতে দল পরিচালনায় নেতা নির্বাচনে মূল্যায়নের অন্যতম বিষয় হতে পারে। ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে কার্যত অনেকেই স্থানীয় পর্যায়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। ক্ষমতার স্বাদ নেয়া এসব নেতাদের মাঠ পর্যায়ের মূল্যায়ন দলের সর্বোচ্চ মহলের হাতে রয়েছে। তাই কাউন্সিলরের পাশাপাশি সামনে জাতীয় নির্বাচন সবকিছুকেই বিবেচনায় রেখে যোগ্য সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেছে। এদিকে কেন্দ্র কর্তৃক নেতা নির্বাচনের বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত হওয়ায় প্রার্থীরাও দৌঁড় ঝাপ করছে সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে।
২৮ তারিখ দিনাজপুর গোর এ শহীদ বড় ময়দানের পূর্বপ্রান্তে তৈরা করা হচ্ছে বিশাল প্যান্ডেল। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান এমপি, বরেণ্য অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপি, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আবা লুৎফা ডালিয়া, সফুরা বেগম রুমি, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি মনোরঞ্জনশীল গোপাল এমপি মো. শিবলি সাদিক এমপি ও জাকিয়া তাবাসসুম জুঁই এমপি।
উল্লেখ্য দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্বেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর। অ্যাড মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি সভাপতি ও আজিজুল ইমাম চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হোন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়েছিল। তিন বছরের জন্য কমিটি গঠন হলেও কেটে গেছে ১০ বছর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।