বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নে ফসলি জমি থেকে স্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে তিন ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। কৃষিজমি সুরক্ষা আইনের তোয়াক্কা না করে মাতামুহুরী নদীর ৩টি পয়েন্ট থেকে দৈনিক ৪০-৫০ ডাম্পার ট্রাক দিয়ে অবৈধভাবে বালু নেয়া হচ্ছে। কাকারা ইউপি চেয়ারম্যানের আশকারা পেয়ে আরও বেপয়োরা হয়ে উঠেছে ইউপি সদস্যরা। এতে একদিকে যেমন ফসলি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব এবং ঘরবাড়ি হুমকিতে পড়েছে।
চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়ার কৃষক নুরুল কবির, মকছুদ আহমদ, নুর খান, এমরানুল হক জানান, পরিবারের কিছু কৃষি জমি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কৃষি কাজ করে কোন রকম পরিবার চালাচ্ছি আমরা। ওই জমিতে এবারে বাদাম, বেগুন, মরিচ, ফেলন, টমোটো ও মুলা চাষ করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের কৃষি জমির ফসল ঘরে তুলতে দিচ্ছে না। ফসল ঘরে তোলার আগেই বালু উত্তোলন করছে একটি মহল। বাদাম ক্ষেতের মাঝখানে গর্ত করে বালু উত্তোলন করছেন কাকারা ইউনিয়নের তিন ইউপি সদস্য। তারা কারও কথা তোয়াক্কা করছেন না। গভীরভাবে জমি খনন করে বালু উত্তোলন করায় আশপাশের জমি ভেঙে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের নাসির উদ্দিন নাসু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শফিকুল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবু নঈম রুমির নেতৃত্বে আরও তিন মিলে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। মাতামুহুরী নদীর কাকারা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়া পয়েন্টে প্রায় ৩০ কৃষকের চাষী জমিতে কয়েকটি স্থানে স্কেভেটর দিয়ে অবাধে বালু তুলছেন তারা। শুধু তাই নয়, নদীর তীর থেকে বালু তোলে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। ফলে অসহায় কৃষকের চাষ করা সব ফসল নষ্ঠ করে ফেলছে। চাষে বিনিয়োগ করা টাকা ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকরা। স্কেভেটর দিয়ে বালু উত্তোলন করায় নদীর দু’ধারের জমি, ঘর-বাড়ি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নদীতে বিলিনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা বালু ব্যবসায়ী তিন ইউপি সদস্যসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু দুইদিনও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ফলে সাধারণ কৃষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কারও জমি থেকে বালু উত্তোলন করছি না। উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হবে না। মাতামুহুরী নদীর জেগে উঠা চর থেকে বালু উত্তোলনের কথা জানান তিনি।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, মাতামুহুরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।