প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডোপ টেস্টের আওতায় আনা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডিপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্ম মাদকের প্রধান ভুক্তভোগী। এই প্রজন্মকে রক্ষার জন্য কি কি করা যায়, এ নিয়ে আমাদের আলোচনা করা দরকার। ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে মসজিদের ঈমাম পর্যন্ত সবাইকে টেস্টের আওতায় আনা দরকার।
ডিপুটি স্পিকার আরো বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাদককে হারাম বলেছেন। ৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের পর বাতিল করা ৫২টি মদ সরবরাহর প্রতিষ্ঠান নবায়ন করার মাধ্যমে মাদক ব্যবসা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠে। দেশের ৫০-৬০ লাখ মানুষ বিভিন্ন মাদকের সঙ্গে জড়িত আছে। তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিলে দেশে মাদকের ব্যবসা অনেক রোধ হবে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারে হোটেল সী গালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের আয়োজনে ধূমপান ও মাদকবিরোধী অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তারা মাদকের কুফল ও প্রতিরোধে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক আলোচনা করেন। পরে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধে সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে সামাজিক প্রতিরোধ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য জাফর আলম, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও ফারহানা জামান লিজার সঞ্চালনায় সেমিনারে সংসদ সদস্য মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার, সংসদ সদস্য মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর প্রমুখ।