Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দখল দূষণে অস্তিত্ব সঙ্কটে কালাইয়া খাল

নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী মাসুম, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দখল ও দূষণে নাব্যতা হারাচ্ছে বাউফল উপজেলার প্রাণ কালাইয়া খাল। প্রতিবছর দক্ষিণাঞ্চলের প্রসিদ্ধ বাণিজ্যকেন্দ্র কালাইয়া হাট থেকে সরকার প্রায় দেড় কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে। নানান অত্যাচারে খালটির করুন দশা হওয়ায় জৌলুস হারাতে চলেছে ঐতিহ্যবাহী কালাইয়া হাট।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন থেকে কালাইয়া খাল দখল করে এক শ্রেণীর দুষ্ট লোক বিশেষ পদ্ধতিতে ‘ঝাড়া’ দিয়ে মাছ শিকার করছে। এছাড়াও খালের দুই তীর দখল করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা।
এদিকে কালাইয়া হাটের সব ময়লা আবর্জনা খালে ফেলা হচ্ছে। খালটির দুই তীরে অসংখ্য টয়লেটের সংযোগ দেয়ায় পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে। অব্যাহত দখল, দূষণ আর পলি মাটির প্রভাবে নাব্যতা হারিয়ে কালাইয়া খালে নৌযান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে জানা যায়, যুগ যুগ ধরে দক্ষিণাঞ্চলের ধান, চাল, গরু ও মহিষের মোকাম হিসেবে পরিচিতি বহন করছে কালাইয়া হাট। প্রতি সোমবার এখানে সাপ্তাহিক হাটের দিন। তাই প্রতি সোমবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বেপারীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় কালাইয়া হাট। ধান, চাল, গরু ও মহিষের বাজারে প্রতি সপ্তাহে কয়েক কোটি টাকা লেনদেন হয়।
প্রায় ৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট কালাইয়া হাট আজ বিভিন্ন কারনে জৌলুস হারাতে বসেছে। এরই মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ কালাইয়া খাল নাব্যতা হারিয়েছে। কয়েকমাস আগে ড্রেজিং করা হলেও জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে মালবাহী নৌযান চলাচল করতে হচ্ছে।
ঢাকা-কালাইয়া রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ ঈগল এর সুপারভাইজার আমির হোসেন বলেন, কয়েকবার ড্রেজিং করার পরও নাব্যতা ফিরে আসেনি এই খালে। ড্রেজিংয়ের পর জোয়ারের সময় পানি মেপে আমাদেরকে সান্তনা দেয়া হয়। কিন্তু ভাটার সময় বড় নৌযান প্রবেশ করতে পারছে না।
এছাড়াও ভাটার সময় কালাইয়াহাটে কোন মালবাহী কার্গো প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কালাইয়া ধান চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, জোয়ারের সময় ট্রলার আকৃতির ছোট নৌযানে ধান চাল পরিবহন করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেশি হচ্ছে। এ বিষয়ে কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ মনির মোল্লা বলেন, সম্প্রতি লঞ্চঘাট থেকে তেঁতুলিয়া নদী পর্যন্ত খালটি ড্রেজিং করা হয়েছে। ময়লা ফেলার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ