Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ডাকাতি করত তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২২, ৪:৪৬ পিএম

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কেরানীগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর ৮৫ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।

পুলিশ বলছে, ডাকাতির জন্য কয়েকটি দলে বিভক্ত হত চক্রটি। ডিবি পুলিশ, সিআইডি, র‌্যাবের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়ে লেনদেনকারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে। ডাকাতির আগে ঘটনাস্থল রেকি করার কাজে মোটরসাইকেল এবং ডাকাতির কাজে তারা মাইক্রোবাস ব্যবহার করে। ডাকাতির কাজে তারা হ্যান্ডকাপ, ওয়্যারলেস ও খেলনা পিস্তল ব্যবহার করত।

 

শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার রাজধানীর কাজলা, সাভারের কাউন্দিয়া ও পটুয়াখালী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তারের পর এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সোহাগ মাঝি, মো. দেলোয়ার, মো. জয়নাল হোসেন, মো. সোহেল, মো. জনি এবং মো. আজিজ। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা, একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।


ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, গত ১৩ নভেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে ব্যবসায়ী কেরামত আলী দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দড়িগাঁও বাজারে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যাগে করে নগদ ৮৫ লাখ টাকা নিয়ে পিকআপে আব্দুল্লাপুরের সাউথ ইস্ট ব্যাংকের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে অজ্ঞাত ১০-১২ জন ডাকাত ব্যবসায়ী কেরামত আলীর পথরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।

 

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কেরামত আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতির মামলা হয়। ওই মামলার ঘটনায় ঢাকা জেলা পুলিশ, র‌্যাব, পিবিআই’র পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছিল ডিবি লালবাগ বিভাগ।

 

গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তাররা ডাকাতির জন্য কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়। ডিবি পুলিশ, সিআইডি, র‌্যাবের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিক ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নেয়। ব্যবসায়ীসহ আর্থিক লেনদেনকারীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে।

 

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সিসি ক্যামেরা নেই এমন নিরিবিলি জায়গায় সুযোগ বুঝে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীদের পথরোধ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। এরপর তাদের নামে মামলা অথবা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে বলে টাকার ব্যাগসহ গাড়িতে তুলে নেয়। সুবিধামতো জায়গায় টাকা অথবা মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে নির্জন এলাকা বা রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ