বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে যোগদান করেছেন সুভাষ চন্দ্র দাস, এফসিএ, এফসিএমএ। যোগদানের পূর্বে তিনি সোনালী ব্যাংকে জেনারেল ম্যানেজার ও চীফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের গত ১৭ নভেম্বর তাঁকে জেনারেল ম্যানেজার থেকে ডিএমডি পদে পদোন্নতি প্রদান করেন।
দীর্ঘ ২২ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ সুভাষ চন্দ্র দাস ১৯৯৭ সালে ঢাকা কমার্স কলেজে প্রভাষক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০০ সালের ২৪ মে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। এছাড়া পদোন্নতি পেয়ে উপ-পরিচালক ও যুগ্ম-পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট, ব্যাংকিং ইন্সপেকশন ডিপার্টমেন্ট, ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টসহ বিভিন্ন দপ্তরে অত্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি চুক্তিভিক্তিক চীফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার হিসেবে সোনালী ব্যাংকে যোগ দেন।
সুভাষ চন্দ্র দাস ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় জন্মগ্রহণ করেন।
দেশে ৮ মাসে ৮৩০ ধর্ষণ
সংবাদ সম্মেলনে নারী নেত্রীদের তথ্য
স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ৮৩০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে নারীদের ওপর পারিবারিক নির্যাতন হয়েছে ৪১১টি, পারিবারিক নির্যাতনে হত্যা হয়েছে ২৫৩টি, পারিবারিক নির্যাতনের ফলে আত্মহত্যা হয়েছে ৭৯টি ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১৪৮টি। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে ‹নিঃশঙ্ক জীবন চাই: নারী নির্যাতনমুক্ত সমাজের অঙ্গীকার চাই› শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নারী নেত্রীরা। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘নারী নিরাপত্তা জোট’ ও ‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’।
লিখিত বক্তব্যে জোটে’র প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে নারীরা ঘরে-বাইরে, সব সম্পর্কে, সব বয়স-শ্রেণি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। বর্তমান সরকার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও পরিস্থিতি বিশ্লেষণে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। বরং ভয়াবহতা ও নৃশংসতা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। তিনি আরো বলেন, দেশে সংঘটিত নারী নির্যাতন মামলাগুলো তদন্তেই বিনষ্ট হয়ে যায়। অধিকাংশ নারী নির্যাতনের মামলার তদন্তে গিয়ে তদন্ত কর্মকর্তারা প্রভাবশালীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ঘটনাস্থলের আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা না বলে নিজের মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেন। এতে অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। আবার অনেক অপরাধী জামিনে বের হয়ে কৌশলে বিচার এড়িয়ে যায়।
এ অবস্থায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ৯টি দাবি তুলে ধরেন নারী নেত্রীরা। এগুলো হলো-নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি, উচ্চ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি, বিচার চলাকালে নির্যাতনের শিকার নারী, শিশু ও পরিবারের নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ,মামলায় সাক্ষী প্রদান প্রক্রিয়া যুগোপযোগী করা, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা, পারিবারিক নির্যাতন (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন ২০১০ সফল করাসহ ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। একইসাথে সব ধরনের বৈষম্যমূলক আইন ও নারী নির্যাতন বিরোধী আইন সংশোধন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।