Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বকেয়া বেতন চাওয়ায় শিক্ষকের দাড়ি ছিঁড়ে ফেলে অভিভাবক

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন চাওয়ায় শিক্ষকের দাঁড়ি ছিঁড়ে ফেলে এক অভিভাবক। শুধু দাঁড়ি ছিঁড়েও থেমে থাকেনি, শুরু হয় ওই শিক্ষকের ওপর মারধর হামলা ও ভাঙচুর।

হামলায় শিকার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শিক্ষক ঈশ্বরগঞ্জ পৌর সদরের কাকনহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মো. ফজলুল হক। এ ঘটনায় আহত শিক্ষক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঘটনায় শিক্ষক ফজলুল হকের স্ত্রী আয়েশা খাতুন বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লিখিত অপর ব্যক্তিরা হলেন- কাকনহাটি গ্রামের গ্রামের আব্দুস সালাম (৪৫), মঞ্জুরুল হক (৩০), আঞ্জু মিয়া (৪২), শামছুল হক (৬০), রাকিবুল ইসলাম (২৫)।

জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর সদরের কাকনহাটি গ্রামের এনামুল হকের ছেলে আরাফাত (৭) কাকনহাটি দারুল কোরআন হামিদিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করে আসছে। বিগত পাঁচ মাস ধরে এনামুল তার ছেলের বেতন পরিশোধ না করায় মাদরাসার শিক্ষক ফজলুল হক বেতন দেয়ার কথা জানান। কিন্তু আজ না কাল দিবে বলে নানা অজুহাত দেখিয়ে বেতন দেয়নি অভিভাবক এনামুল।

এদিকে ঘটনার কিছুদিন আগে অভিভাবক এনামুল দাবি তোলেন তিনি মাদরাসার পরিচালকের বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু মাদরাসার পরিচালক জানান, তার নাম্বারে কোন টাকা আসেনি।

এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিভাবক এনামুল মাদরাসায় আসেন। তখন মাদরাসার পরিচালক বেতন চাইলে তখন এনামুল গালিগালাজ শুরু করে এবং টাকা দিবে না বলে জানিয়ে দেন। এমন কথা শুনে শিক্ষক ফজলুল হক কেন টাকা দিবেন না বলে প্রতিবাদ করলে এনামুল তার মুখের দাঁড়ি ও মাথার চুলে ধরে দাঁড়ি ও মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলে। সেই সাথে শিক্ষককে টেনে হিঁচড়ে মেঝেতে ফেলে দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এঘটনার খবর পেয়ে এনামুলের আরো লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা ভাঙচুর-লুটপাট করে।

এবিষয়ে মাদরাসার পরিচালক মো. ফজলুল হক জানান, আমি বেতন চাওয়ায় মাদরাসায় এসে এনামুল হক ছাত্র ও অভিভাকদের সামনে গালিগালাজের এক পর্যায়ে আমার মুখে থাকা এক মুষ্টি পরিমাণ দাড়ি ছিড়ে ফেলে। আমাকে লাথি ও ঘুষি মারতে থাকে।

পরে একটি বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এখানেই থেমে যায়নি ওরা। আমাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসা নিতে বাঁধা প্রদান করে। আমার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করে। আমি এর বিচার চাই।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান জানান, এঘটনায় দুই পক্ষের কাছ থেকেই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ