বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, দৃঢ় সংকল্প ও প্রতিশ্রুতি ঠিক থাকলে একটি দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব। তিনি আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ’ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতার পর পৃথিবীর বিজ্ঞজনরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রশ্ন করেছিল, এদেশ (বাংলাদেশ) চলবে কীভাবে? প্রত্যুত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমাদের দেশে মাটি ও মানুষ আছে। জাতির পিতার মাটি ও মানুষের প্রতি আত্মবিশ^াসের ফল আজকের বাংলাদেশ।’
এসময় তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়া বাংলাদেশের চেয়ে ১৪০ গুণ বড় হওয়া সত্ত্বেও উৎপাদনে বাংলাদেশ রাশিয়ার চেয়ে এগিয়ে। তাই বলা যায়, ‘কমিটমেন্ট’ এবং ‘ডিটারমিনেশান’ ঠিক থাকলে একটি দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন করা সম্ভব।
এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভার্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল লতিফ। এছাড়াও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভার্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের পরিচালক মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বক্তৃতা করেন।
সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং এনজিও সংগঠক ও কর্মকর্তারা এ কর্মশালায় অংশ নেন।
উল্লেখ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নে কাজ করছে। এর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা ও উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়ে অগ্রাধিকার প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি বিশেষ উদ্যোগ বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এ কর্মশালায় বক্তারা, ‘আমার বাড়ি আমার খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, ঘরে-ঘরে বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ এবং পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেন।’
সূত্র: বাসস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।