Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্বাচন করা ভূমি নিয়ে বিতর্ক

ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমিতে প্রকল্পের ঘর নির্মাণের অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য নির্বাচন করা ভূমি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি জবর দখল ও সড়ক দখল নিয়ে আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় মো. ছিদ্দিকুর রহমান ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সালের মধ্যে ১৬ শতক ডোবা ও ২১ শতক বাড়ি কিনেন। পরে তিনি ডোবা ভরাট করে ঘর নির্মাণ এবং বিভিন্ন গাছ রোপন করেন। গত ১৬ নভেম্বর অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন তার ব্যক্তি মালিকানার জায়গায় খাস জমি আছে এমন দাবি করে কোন পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ঘর ভেঙে ফেলে এবং কয়েক লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে ফেলে। সেখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া জেলে পল্লীর সরকারি রেকর্ডের রাস্তাও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য উপযুক্ত বলে প্রস্তাবনা দিয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান। এর প্রতিবাদ জানিয়ে এবং এখানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ না করতে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছে সজীব দাস নামে এক ব্যক্তি। অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বলেন, খাস জমি নির্ধারণে চেয়ারম্যান অনিয়ম করছেন। তিনি গরীব ও দুর্বল মানুষদের বাড়ির জায়গার খাস আছে কিনা তা বের করতে যদটুকু তৎপর ক্ষমতাবান ও ধনী লোকদের ক্ষেত্রে ততটা নন। খাস জমি বের করলে পুরো ইউনিয়নের সব খাস জমিই বের করা হোক। লোকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সে তার পছন্দের তালিকা দিচ্ছে। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য বাস্তবায়ন হোক। অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করে বলেন, গাছ কাটা কিংবা উচ্ছেদ কোনটাই তিনি করেন নি। সরকারি জায়গা সরকারের লোকজন উচ্ছেদ করেছে।

এদিকে এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলে জেলা প্রশাসন ঘটনা খতিয়ে দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন জানান, তিনি নতুন এসেছেন। ভূমি নির্বাচনসহ সামগ্রিক কাজ আগের ইউএনও করে গেছেন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ