Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চরফ্যাশনে চিকিৎসকের অবহেলায় ২ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

চরফ্যাশন (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০২ এএম

ভোলার চরফ্যাশনের প্রাইভেট ক্লিনিক ইকরা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে চিকিৎসকের অবহেলায় ২ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই শিশুর অবস্থার অবনতি হলে ওই ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন ও গাইনি চিকিৎসক ডা. ফারজানা তাসনীন গুরুতর অবস্থায় ২ শিশুকে গত বুধবার সকালে ও দুপুরে চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালে পাঠালে নেয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়। জানা যায়, গত বুধবার সকালে জ্বর নিয়ে মুসরাদ নামের ১০ মাস বয়সী শিশুকে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে প্রাইভেট ক্লিনিক ইকরা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের দালাল চক্র শিশুর স্বজনদের ভালো চিকিৎসার কথা বলে ফুসলিয়ে ওই ক্লিনিকে নিয়ে যান এবং চিকিৎসার নামে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা দেন। এসব পরীক্ষা নিরীক্ষায় দীর্ঘ সময় ক্ষেপন হলে শিশুর অবস্থার অবনতি হয়। এতে শিশুটির অবস্থা সঙ্কাটপন্ন হলে তড়িগড়ি করে ওই প্রাইভেট ক্লিনিকে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সরকারি হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত শিশু দুলারহাট থানার আহাম্মপুর ইউনিয়নের মোশারেফ হোসেনের মেয়ে। অপরদিকে গত মঙ্গলবার বিকালে মর্জিনা নামের এক প্রসূতিকে প্রাইভেট ক্লিনিক ইকরা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে নিয়ে এলে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে পুত্র সন্তান প্রসব হয়। রাত পেরিয়ে সকাল হলে ওই নবজাতকে কোনো রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই প্রসূতি মায়ের সাথে রাখেন। গত বুধবার নবজাতক শিশুটির অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কোনো রকম চিকিৎসা ছাড়াই শিশুটিকে চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতক শিশুটিকে মৃত বলে জানান। নিহত নবজাতক শিশু দক্ষিণ আইচা থানার করিম পাড়া গ্রামের সেলিমের পুত্র। গাইনি চিকিৎসক ডা. ফারজানা তাসনীন জানান, জম্মের পর নবজাতক শিশুর সস্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। অবহেলার বিষয় সঠিক নয়। শিশুটি জম্মের পরপরই নিমোনিয়ার লক্ষণ ছিলো। গত বুধবার সকালে শিশুকে চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুনেছি সেখানে নবজাতক শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। ক্লিনিক মালিক পলি ইসলাম অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, ১০ মাস বয়সী শিশুটিকে ক্লিনিকে নিয়ে এলে চিকিসক রোগের ধরন অনুযায়ী তিনি পরীক্ষা দেন। কিন্তু শিশুটির অবস্থার অবনতি দেখে তাকে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়। সেখানে তার কি হয়েছে জানা নাই। অপর নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, প্রসূতি নারী মর্জিনার অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়েছে। শিশুর পরিবারকে নবজাতক শিশুকে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ দেখাতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা তা করেননি। তাছাড়া প্রসূতি নারীর আমাদের ক্লিনিকে অস্ত্রপচার হয়েছে। তার ভালো মন্দের দ্বায়িত্ব আমাদের কিন্ত নবজাতকের নয়। নবজাতকের পরিবার থেকে জানতে পেরেছি ওই প্রসূতি নারীর আরো দুই শিশু পুত্রের জম্মের পরপরই মৃত্যু হয়েছে। চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক রেবেকা নাজনীন জানান, নিহত দুই শিশুরই হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে মৃত্যু হয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক জানান, ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ