Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৪ ডিসেম্বর সারাদেশে স্মারকলিপি পেশ

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিদ্যুতের মূল্য ফের বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। দাম বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুত খাতের দুর্নীতির দায় জনগণকে দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা জনদুর্ভোগ আরো বাড়াবে। অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বিদ্যুতের মূল্য ফের বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। দাম বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুত খাতের দুর্নীতির দায় জনগণকে দিতে হচ্ছে। তিনি বলেন, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা জনদুর্ভোগ আরো বাড়াবে। এটা ভোক্তা পর্যায়েও বাড়বে। বিদ্যুৎ খাতের বড় ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ। এতে সবখাতে সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়ে জনগণের পকেট কাটা হবে।

পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম,¡ হারুন অর রশিদ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী ও মাওলানা এবিএম জাকারিয়া।

তিনি পাবলিক পরীক্ষাসহ শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও ডারউইনের বিবর্তবাদ সকল সিলেবাস থেকে বাদ দেয়ার দাবিতে ৪ ডিসেম্বর সারাদেশে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালন করার জন্য প্রতিটি জেলা শাখাকে আহ্বান জানান। এদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতের ভয়াবহ দুর্নীতি জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বিদ্যুতের দাম ২০% বাড়ানোর সিদ্ধান্তর কারণে আরেক দফা সব পণ্যের দাম বাড়বে। ফলে জনগণকে এ মাশুল দিতে হবে। তিনি বলেন, বিদ্যুত খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করলে বিদ্যুতের মূল্য বার বার বৃদ্ধির প্রয়োজন হতো না।

খেলাফত মজলিস ঃ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্দ্ধগতিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে। এরমধ্যে পাইকারী পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ২০ ভাগ বাড়ানো হয়েছে। শিগগিরই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণার কথা শোনা যাচ্ছে। নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির কারণে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের জীবন। আবার নতুনকরে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি মরার উপর খাঁড়ার ঘা। জিনিসপত্রের দাম কমাতে না পারলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে মজলিস মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, মাওলানা শামসুজ্জামান চেীধুরী, মাওলানা আজিজুল হক, খন্দকার সাহাবউদ্দিন আহমদ, তাওহিদুল ইসলাম তুহিন।

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঃ বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করার যে ঘোষণা দিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি। এক যুক্ত বিবৃতিতে পার্টির আমীর আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজি ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার বলেন, দেশের জনগণের দুঃখ দুর্দশায় এই মূল্য বৃদ্ধি মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এমনিতেই দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন দৌরাত্ম্যে মানুষ দিশাহারা। বিদ্যুতের দাম বাড়লে পণ্যের দাম আরও বাড়বে। অথচ জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে না। সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের খেসারত জনগণকে দিতে হচ্ছে।

নেতৃদ্বয় বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেল ও কাগজসহ কৃষি পণ্যে ভর্তুকি দিয়ে হলেও দাম কমানোর দাবি জানান। নেতৃদ্বয় এসব দাম বাড়ানো বাদ দিয়ে সরকারকে দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় ও পাচার রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের অসহায় মানুষের জীবন যাত্রাকে সহজ করার পরামর্শ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ