Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভালো দাম পাওয়ায় খুশি দিনাজপুরের কৃষক

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ উৎপাদন

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাহফুজুল হক আনার, দিনাজপুর অফিস : উত্তরের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। গত ক‘বছর থেকে আমন আবাদ করে লোকসান গুনলেও এবার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ধানের ভালো দাম পাওয়ায় দিনাজপুরের কৃষকরা খুশি। এবার ধান ঘরে উঠার শুরুতেই ধানের দাম বেশ ভাল হওয়ায় কৃষকেরা হাফ ছেড়ে বেঁচেছে। মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কাছে। গত কয়েকদিনে দিনাজপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে কৃষকের মুখে হাসি দেখতে পাওয়া গেছে। দিনাজপুর শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোপালগঞ্জ ধানের হাটে গিয়ে দেখা যায়, ৭৫ কেজি ওজনের মোটা গুটি স্বর্ণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ টাকা থেকে ১৫শ’ টাকা দরে, চিনিগুড়া ২৭৫০টাকা, কাটারী ২৭৫০টাকা, সম্পা কাটারী ১৭৫০ থেকে ১৮শ’ টাকা এবং বিনা-৭ ধান বিক্রি হচ্ছে ১৬শ’ টাকা বস্তা (৭৫ কেজি) দরে। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ধানের ফলনও হয়েছে ভালো। কৃষকরা জানান, অনুকূল আবহাওয়া আর সার-কীটনাশকসহ ধান আবাদের অন্যান্য উপকরণের সরবরাহ ঠিকমত পাওয়ায় এবার তারা আমনের ভালো ফলন পেয়েছে। ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে ধানের এই ভালো দাম পেয়ে খুশী দিনাজপুর জেলার কৃষকরা। বিরল উপজেলার হাসিলা গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান, তিনি প্রতি বিঘা (৫০ শতাংশ) জমিতে গুটি স্বর্ণ ধান আবাদ করে ফলন পেয়েছেন ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমিতে ফলন পেয়েছেন ১৭ বস্তা ধান। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে গুটি স্বর্ণ ধান আবাদ করে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে তার লাভ হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার টাকা। একই কথা জানালেন ওই গ্রামের ধানচাষি আব্দুল জব্বার, আবুল কালামসহ অন্যান্য কৃষকরা। একই কথা জানালেন, সদর উপজেলার নশিপুর গ্রামের বাবুল মিঞা, এবার তার বিঘাপ্রতি কাঠারী ধানের ফলন হয়েছে ৯ থেকে ১০ বস্তা। বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রতি বিঘা জমির ধান বিক্রি করে তিনি পাবেন প্রায় ২৭ হাজার টাকা। কিন্তু এই ধান উৎপাদন করতে গিয়ে তার খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। এভাবে দাম পেলে ধান আবাদ করে লাভবান হতে পারবেন বলে জানান তিনি। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক গোলাম মোস্তাফা জানান, দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলায় এবার ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৭ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে মোট ধান আবাদ করা হয় ২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। তিনি জানান, অনুকূল আবহাওয়া, সরকারি সঠিক তদারকি এবং কৃষকদের সঠিক পরিচর্যায় এবার আমনের ভালো ফলন হয়েছে। এতে জেলায় এবার ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টনেরও বেশি ধান উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ