Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খলিল শিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে দাউদপুরের পূর্বাচল উপশহর সীমানায় থাকা একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ভবনের ছাদের ফাটল ও ঝুঁকিপূর্ণ  খুঁটির রিপেয়ারিং না করেই রং দিয়ে ঢেকে দেয়ার চেষ্টা করেছে। শুধু তাই নয়  রিপেয়ারিং না করেই রং দিয়ে ঢেকে দিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে বিল উত্তোলন করেছে  স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনই চিত্র দেখা গেছে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের ধামচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সরেজমিন দেখা যায়, বিদ্যালয়টির অবস্থান পূর্বাচল উপশহরের ১৭নং সেক্টর এলাকায়। এই এলাকায় চাষাবাদের সুবিধায় পূর্বাচল আদিবাসি ও ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু পরিবার তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করছেন। ফলে তাদের সন্তানদের লেখা পড়াও এই এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করাচ্ছেন। তবে ধামচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করে আসতে বাধ্য হচ্ছে। ভবনের গুরুত্বপুর্ণ খুঁটিতে ফাটল ও ছাদের ভিমে ও মূল অংশে ফাটল দেখা দেয়ার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে ওঠছে। বাধ্য হয়েই ভবনের মধ্যেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাইলে সমাধানের জন্য উপজেলা থেকে রিপেয়ারিং টেন্ডার পায়। পরে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম নিজেই একটি স্থানীয় ঠিকাদার কোম্পানির সাথে গোপন আঁতাত করে রিপেয়ারিং এর কাজ না করেই শুধুমাত্র রং দিয়ে ঢেকে দেয়ার চেষ্টা করে। এতে সফলও হয় তারা। উপজেলার সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ম্যানেজ করে রিপেয়ারিং ও রংয়ের টাকা উত্তোলন করে হাতিয়ে নেয় সরকারি টাকা অত্র বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  এদিকে স্কুল ভবনের স্টিলের দরজা জানালাগুলোও ভেঙে শ্রেণি কক্ষের বেঞ্চ ও চেয়ার টেবিল চুরি করে নেয় বলে জানায় স্থানীয়রা। শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হওয়ায় ভয়ে পাঠদানে মনোযোগী হতে পারছে না। এতে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানও পিছিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়টি উপশহরের সীমানায় অবস্থান হওয়ায় সরকারি নানা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছি। নতুন ভবনের ব্যবস্থা না করাতে বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাঠদান করাতে হয়। রিপেয়ারিং ছাড়া রং দেয়ার বিষয়টি পরিচালনা কমিটির এখতিয়ার বলে জানান তিনি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাশেম আলী জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। ঠিকাদার অপকর্ম করে গেছে এ দায় তার নয় বলে দায় এড়িয়ে যান তিনি। এসব বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, পূর্বাচলের ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকি সম্পর্কে  রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও জেলা শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেছি। তারা নতুন ভবন নির্মাণ ও বিদ্যালয়ের জমি সংকট সমস্যার সমাধানে অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন। এ সময় তিনি রিপেয়ারিং ছাড়া রং দিয়ে ঢেকে দেয়ার বিষয়টি প্রতারণা বলে উল্লেখ করেন। ঘটনা তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করবেন বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ