Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফুটপাথ লিজদাতাদের তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট

ইনকিলাব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রিট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকার ফুটপাথ যারা লিজ দিচ্ছেন বা বিক্রি করছেন তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে দুই সিটি করপোরেশন ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ফুটপাথ যারা লিজ দিচ্ছেন বা বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে নাÑ এই মর্মে রুল জারি করেছেন। ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে দায়েরকৃত রিটের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি মো: মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো: কাজী ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ এবং রুল জারি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটটি করা হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট প্রকাশিত ‘বিক্রি হচ্ছে ফুটপাথ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইনকিলাব। তাতে বলা হয়, হকার-পুলিশের মধ্যে চলে ‘উচ্ছেদ উচ্ছেদ খেলা’ রাজধানীর সড়কের ফুটপাথ দিয়ে পথচারীদের চলাচলের সুযোগ কমে আসছে। অধিকাংশ ফুটপাথ হকারদের দখলে। হকারদের কাছ থেকে দৈনিক চাঁদা, মাসিক চাঁদা তোলা হচ্ছে। ফুটপাথে দোকান বসানো হকারদের কাছে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত চাঁদা নেন। কোনো কোনো এলাকায় মাসিক চাঁদাও আদায় করা হয়। এমনকি হকারদের বসতে দেয়ার জন্য ফুটপাথ ‘ভাড়া’ দেয়া হয়। ‘বিক্রি’ করা হয়। ফলে যারা হকার উচ্ছেদ করেন তারাই আবার চাঁদা নিয়ে ফুটপাথে দোকান বসানোর ব্যবস্থা করেন। রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা কলেজের সামনে, গাউসিয়া মার্কেট এলাকা, ফার্মগেট, উত্তরা, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, খিলগাঁও, মহাখালী, মতিঝিল, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, পুরান ঢাকার বংশাল, মিরপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অধিকাংশ সড়ক ও মোড়ে হকার ফুটপাথ দখল করে পশরা নিয়ে বসেছেন। অনেক স্পটে রাস্তার বেশিরভাগ দখল করে দোকান বসানোয় যানবাহন ও পথাচারীদের চলাফেরা করাই দায় হয়ে পড়েছে।
এককালীন মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে এসব ফুটপাথে দোকান খুলে বসার জন্য জায়গা নিতে হয়। তারপরও মাসিক প্রতি দোকান থেকে ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা দিয়ে দোকান বসাতে হয়। এরপর দৈনিক ১০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয় বলে জানিয়েছেন, রাজধানীর ফুটপাথের কয়েকজন দোকান মালিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দোকানের আকারের ওপর নির্ভর করে দোকানের ভাড়া। ছোট দোকান হলে কম টাকা আর বড় দোকান হলে বেশি টাকা দিতে হয় লাইনম্যানকে। এসব দোকানের লাইনম্যানই সব। লাইনম্যানকে ঠিক রাখতে পারলে তার দোকানের আর কোনো সমস্যা নেই। প্রতিটি দোকানেরই রয়েছে অঘোষিত ইজারা, খারিজ, জমা এবং ভাড়া। এ সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে লাইনম্যান নামক ব্যক্তি। এসব দোকানের দৈনিক হারে আদায় করা ভাড়ার পাশাপাশি অন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তিরা আদায় করেন চাঁদা। রাজধানীর কোনো কোনো এলাকায় সকাল বেলা বসা মাছের বাজার থেকে শুরু করে অন্য সামগ্রীর ক্রেতাদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হাইকোর্ট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ