Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৬শ’ হেক্টর কৃষি জমি অনাবাদি

পটিয়ায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকি নেই! পতিত জমি খাস খতিয়ান করা হবে -হুইপ

এস. কে. এম. নুর হোসেন, পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬শ’ ২ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করেন না কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে জমিগুলো আবাদহীন অবস্থায় ফেলে রাখার কারণে জমিগুলোতে বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস ও চাটাই বন সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। উপজেলার শোভনদন্ডী, আশিয়া, কাশিয়াইশ, বড়লিয়া, ছনহরা ও পটিয়া পৌর সদরের ইন্দ্রপোল বাকখালী এলাকায় চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পতিত রয়েছে এসব জমি। গত ১০/১৫ বছর পূর্বেও এসব পতিত জমিগুলোতে চাষাবাদ হয়েছে এবং কয়েক লাখ মন ধান পাওয়া গেছে। দৈনন্দিন কৃষকদের উদাসীনতা ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে চাষাবাদযোগ্য জমিগুলোতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু কিছু জমির পাশে খাল ভরাট ও ড্রেন ভরাটের কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জমিতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৬ হাজার ১৭২ হেক্টর। এরমধ্যে ৬৮৩ হেক্টর জমিতে আউশ, ১০ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে আমন ও ১৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়। এসব জমির মধ্যে পতিত জমির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫২ হেক্টর।
কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানান, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিগত ৩ বছরে পতিত ৪শ’ ৫০ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। এতে আরো ৬০২ হেক্টর জমি অনাবাদী রয়েছে। তিনি আরো জানান, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি পতিত জমির তালিকা তৈরির জন্য নির্দেশ দিয়েছে। আসামি ৩ মাসের মধ্যে জমিগুলো মালিক পক্ষ চাষাবাদযোগ্য না করলে খাস খতিয়ানে রূপান্তর করা হবে। অনেক কৃষকের অভিযোগ উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তারা এলাকার কৃষকদের সাথে তেমন সমন্বয় করেন না। কৃষকদের প্রয়োজনে ফোন করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। অনেকে ঘরে বসেই মাসে বেতন গুণে। সরকারি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে দৈনিক উপস্থিতির স্বাক্ষর করার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু উপ-সহকারী কৃষিকর্মকর্তাদের দৈনিক কোনো হাজিরা দিতে হয় না, তাদের তেমন কোনো জবাব দিহিতাও নেই। যার ফলে এ চাকরি ব্যতিত অন্য স্থানেও তাদের চাকরি করার সুযোগ রয়েছে।
উদাহরণ স্বরূপ পটিয়ার হাইদগাঁও গ্রামের রূপায়ন চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি চন্দনাইশ কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হলেও তিনি পটিয়া হাইদগাঁও এটিআর এগ্রো ফার্মে চাকরি করেন। এ সংক্রান্তে সম্প্রতি স্থানীয় দুটি দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পটিয়ায় ৫২টি বণ্টকের জন্য ৩৮ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে। যাদের বেতন ২২ হাজার থেকে ৫৫ হাজার পর্যন্ত।
কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সর্ম্পকে বলেন, এরা একেবারে কোনো কাজ না করে বিষয়টি সঠিক নয়। তারা এলাকায় কৃষকদের সাথে ফসলের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা অনাবাদি জমি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চাষাবাদ যোগ্য না করবে সে জমিগুলো খাস খতিয়ানে অর্ন্তভুক্ত করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ