Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

‘২১ মাস পর জানলাম ভিজিডি তালিকায় নাম আছে’

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে রাজিবপুর ইউনিয়নের ভিজিডির (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) বরাদ্দ নিয়ে নয় ছয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২০ সালে প্রণীত ভিজিডি তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ৪ নারী উপকারভোগী গত ২১ মাস ধরে সরকারি বরাদ্দ পাননি। এ ঘটনায় তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। সেই তদন্ত কমিটি গত রোববার তদন্তের জন্য এলাকায় যায়।
সরেজমিনে উপজেলার রাজিবপুরে গেলে সুতি ভরাট গ্রামের রতন মিয়ার স্ত্রী মোসা. ছফুরা খাতুনের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, তার নাম ভিজিডি বরাদ্দের তালিকায় ছিল তা তিনি জানতেন না। সংসারের দুরবস্থা দেখে তার স্বামী রতন মিয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে নাম নিবন্ধন করতে যান। নিবন্ধন করানোর সময় জানতে পারেন তার স্ত্রী ছফুরা খাতুন ভিজিডি প্রকল্পের একজন উপকারভোগী। এতে তিনি অবাক হয়ে পড়েন। ছফুরা বলেন, তার কাছে ভিজিডি কার্ডটি থাকলে তিনি গত ২১ মাসে ৬শ’ ৩০ কেজি সরকারি চাল বিনামূল্যে পেতেন। অথচ তার দিন কেটেছে অর্ধাহারে। একই ঘটনা ঘটেছে ঘাগড়া নারায়রণপুর গ্রামের আবদুল কাদিরের স্ত্রী রোকিয়া বেগম, উজান চরনওপাড়া গ্রামের আবদুল আজিজের স্ত্রী খোরশেদা খাতুন, একই গ্রামের মুখলেছুর রহমানের স্ত্রী লতিফা আক্তার সুমীর সাথে। তারা ২১ মাস ধরে ভিজিডি প্রকল্পের বরাদ্দ পাননি। জানা যায়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ভিজিডি প্রকল্পের উপকার ভোগীদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছিল। ২০২১ সাল থেকে বরাদ্দ বিতরণ শুরু হয়। প্রকল্পটি দু’বছর মেয়াদী। বর্তমানে প্রকল্পটি প্রায় শেষ হওয়ার পথে। অথচ চারজন উপকারভোগী প্রকল্পের পুরো সময় কোনো বরাদ্দ পাননি। বিষয়টি সাবেক ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ কর্তপক্ষের নজরে না পড়াটা অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন অনেকে। এ বিষয়ে রাজিবপুর ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম মোদাব্বিরুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির বলেন, তিনি গত ২৮ মার্চ শপথ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব নেন। এ পর্যন্ত তিনি ভিজিডি প্রকল্পের ছয় কিস্তির বরাদ্দ বিতরণ করেছেন। প্রতি কিস্তি বরাদ্দ বিতরণের সময় তিনি উপজেলা সদরে জরুরি সভায় ব্যস্ত থাকতেন। তাই অনিয়মের ঘটনাটি তার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ