Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কুষ্টিয়ায় ১০টি ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের ৬ বছরেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ হয়নি

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার, | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ৪:০৬ পিএম

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও তা জনগণের কোন কাজেই আসছেনা। ফলে জনগণের আরো ভোগান্তি বেড়ে গেছে। ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ উপজেলায় ১০ কালভার্ট ও ব্রিজ নির্মাণ করে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। কিন্তু ব্রিজ নির্মানের ৬ বছর অতিবাহিত হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় ওইসব ব্রিজ- কালভার্ট কোন কাজেই আসছে না। শুধু সরকারের টাকাই অপচয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে টেকসই করতে ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মানন্নোয়নে প্রতি অর্থ বছরে নানামূখী কর্মসূচী বাস্তবায়নে সরকারের বিপুল অর্থ বরাদ্দের টাকা ভেস্তে গেল কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায়।

২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ও খালের ওপর ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টি ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মান করা হয়। যার নেই কোন সংযোগ সড়ক। ব্রিজ নির্মাণের ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়ক সংস্কারে উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। সরোজমিনে গিয়েও এমন চিত্রই দেখা গেছে। কোথাও কোথাও প্রয়োজনে-অপয়োজনেও নির্মিত হয়েছে এসব ব্রিজ-কালভার্ট।

 

প্রতিটা ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা। এসব প্রকল্প এখন প্রান্তিক জনপদের সুবিধা না হয়ে অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ গুলো স্থানীয় জনগণের কোনো কাজে আসছে না। এতে ক্ষোভ-প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। দ্রুত ব্রিজ-কালভার্ট গুলোর দু’পাশের সড়ক সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করতেও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

মিরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই ব্রিজ-কালভার্ট গুলোর দু’পাশের সড়ক সংস্কার করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা হবে। কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, শুধুমাত্র টেন্ডারবাজ ঠিকাদার বা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের আর্থিক মুনাফা আয়ের খাত হিসেবেই ব্যয় হয়েছে এসব অর্থ। দেশের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে এসব অনিয়ম দূর্ণীতি রোধে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ