বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ‘ভালো ভাবে শুনে রাখেন, আমরা এক দফা আন্দোলন করছি। এই এক দফার তিনটা উপাদান আছে। আমরা ভোট দিতে পারি না, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে, এই সরকারের অধিনে সম্ভব না। আমাদের প্রথম শর্ত হচ্ছে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি রাজনৈতিক দলগুলোর অধিনে একটি নির্বাচন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই দেশে নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয় সরকারের কাঠামো তৈরি করতে হবে। সংবিধান বদলে, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে নগরীর চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে বাধা, হামলা-মামলা, দমন-পীড়ন, গুলি-হত্যা বন্ধ করার দাবিতে ৭টি দলের রাজনৈতিক জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ সমাবেশটির আয়োজন করে।
এসময় জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘এই দেশের মানুষ এক দফার সংগ্রাম করবে, এই সংগ্রাম কেউ ঠেকাতে পারবে না। এই এক দফার তিনটি উপাদানের মধ্যে যদি কেউ একটিও বদলাতে চায়, তাহলে বুঝবেন; আপনার ক্ষমতা হরণ করতে চায়। বুঝবেন আবারো নানান কায়দায় সৈরাচারী সরকার কায়েম করতে চাচ্ছে। আমরা সরকারের পদত্যাগ চাই, কোন রকমের ভুল ভ্রান্তি চলবে না। জনগন যদি লক্ষ্য সম্পর্কে জানেন, তাহলে কারো শক্তি নাই অবৈধ ভাবে নির্বাচন করার।’
তিনি বলেন, ‘ওনারা (সরকার) বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে। কি উন্নয়ন? বিশাল বিশাল স্থাপনা। এগুলোতো আগেও বিভিন্ন আমলে হয়েছে। আজকাল চাল কেনার ক্ষমতা অনেক সাধারণ মানুষের নাই। উন্নয়নের নাম দিয়ে বছরে রিজার্ভ খালি হয়ে গেছে। অনেকে বলে, এই সরকারের আমলে ১০ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এই টাকা আমার দেশের মানুষের টাকা’
‘আমরাতো শুধু শুনি নাই, দেখেছি; যে কিভাবে আপনারা রাতের আধারে বেলট বাক্স ভর্তি করেছেন। আপনারা হাজার হাজার লোককে ক্রস ফায়ার করেছেন, আপনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। আপনারা র্যাব এবং পুলিশকে দিয়ে এইসব কাজ করিয়েছেন। আর এখন যখন আমেরিকা এদের সেংশন দেয়, আপনারা খুব দেশপ্রেমিক হয়ে যান। এই সরকার বাংলাদেশকে বিদেশের কাছে হেও করছে।’
‘প্রতিপক্ষের হাত পা বেধে, আর নিজেরা পুলিশ বাহিনীকে সাথে নিয়ে তারা বলে খেলা হবে। খেলা পরে হবে, আগে আন্দালন হবে, লড়াই হবে। নির্বাচনের খেলায় আসেন, আমরা আপনাদের হাত পা বাধবো না, সমস্ত অধিকার নিয়েই নির্বাচন করতে পারবেন। এতোদিন বিদেশিদের সমর্থনে মানুষের উপর অথ্যাচার করে, শাসন চালিয়ে যেতে পেরেছেন। এখন গণজোয়ার তৈরি হচ্ছে। তাই বিদেশিরাও পিছন থেকে সরে যাচ্ছে। তাদের পায়ের তলায় এখন আর মাটি নাই।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুল রব, নাগনিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।