Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

লবণাক্ত এলাকায় তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে খুলনায় সেমিনার

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩০ পিএম

‘লবণাক্ত এলাকায় তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার আজ দুপুরে খুলনা কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) এর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন- কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কে জে এম আব্দুল আউয়াল। প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, লবণাক্ততা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির বিকাশে বড় একটি বাঁধা। জমিকে চাষের আওতায় আনলে লবণাক্ততার মাত্রা কমে। পতিত জমি কিভাবে চাষের আওতায় আনা যায় সে বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নজর দিতে হবে।
সভাপতি বলেন, দেশে ভোজ্যতেলের আমদানি কমাতে তেল ফসলের আবাদ বাড়াতে হবে। দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ততা প্রবণ জমিতে ফসলের আবাদ যেমন আশাব্যঞ্জক তেমনি চ্যালেঞ্জিং। তবে তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করতে গিয়ে ধানের আবাদ কমানো যাবে না। কৃষি তথ্য সার্ভিস কৃষকদের এবিষয়ে সব তথ্য সময় মতো সরবরাহ করবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে ভোজ্যতেল হিসেবে ২০২১ সালে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা সমমূল্যের ৭ দশমিক ৮০ লাখ টন সয়াবিন তেল এবং ১৩ দশমিক ৫৫ লাখ টন পাম অয়েল আমদানি করা হয়েছে। সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে তেল ফসলের আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোজ্যতেলের আমদানি ৪০ শতাংশ কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে সরিষার উৎপাদন ছিলো ৬ লাখ টন যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৫৪ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া সরিষা, চিনাবাদাম, তিল, সয়াবিন ও সূর্যমুখী মিলে দেশে মোট ১২ দশমিক ৬২ টন ভোজ্যতেল উৎপাদন হয়।
সেমিনারে আরও জানানো হয়, দেশের উপকূলীয় জেলা গুলোর ১০ লাখ হেক্টরের বেশি জমি বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততায় আক্রান্ত। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৫ লাখ হেক্টর জমি বছরের বিভিন্ন সময় অনাবাদি থাকে। এই অনাবাদি জমির ২ শতাংশ সূর্যমুখী চাষের আওতায় আনতে পারলে ১২ হাজার টন তেল উৎপাদন করা সম্ভব। আবার ১ শতাংশ জমিতে সয়াবিন আবাদ করা গেলে প্রায় ১৫ হাজার টন সয়াবিন তেল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের খুলনা কার্যালয়ের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শারমিনা শামিমের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত জানান- এআইএস এর উপ-পরিচালক (গণযোগাযোগ) ড. শামীম আহমেদ। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাতক্ষীরা উপ-কেন্দ্রের উধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. বাবুল আকতার।
অনুষ্ঠানে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও কৃষকসহ মোট ৪০ জন অংশগ্রহণ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ