বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মাত্র দুই মাস আগে মাইক্রোবাস আটকে চাঁদাবাজির ঘটনায় ধরা পরলেও এবার এক ছাত্রীর মোবাইল ফোনে অশ্লীল ম্যাসেজ দিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার হল বরিশাল মহানগর পুলিশের এসআই মেহেদী হাসান। পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস আটকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া এসআই মেহেদীকে মঙ্গলবার রাতে আটক করা হয়। বর্তমানে সে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে।
মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমাদের কাছে অভিভাবকরা দাবী করেন তাদের মেয়ের মোবাইলে কেউ একজন অশ্লীল ম্যাসেজ পাঠিয়ে টাকা চাচ্ছে। এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করলে একপর্যায়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি যখন বিকাশ নাম্বারে টাকা চায়, তখন সেখানে টাকা পাঠিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আটকে অভিযান করা হয়। অভিযানে গিয়ে আটক ঐ অজ্ঞাত ব্যক্তি ছিল এস আই মেহেদি। কয়েকদিন আগে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস আটকে চাঁদাবাজির ঘটনায় সাসপেন্ড হয় এসআই মেহেদী হাসান।
বুধবারের ঘটনায় অভিযোগকারী এবং গ্রেফতার হওয়া পুলিশের এসআই’র মোবাইল ফোন যাচাই করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মেহেদীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিয়মানুযায়ী বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হচ্ছে।
কিশোরীর মায়ের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৮ নভেম্বর রাত পৌনে ৯ টার দিকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়া কন্যার নাম্বারে কল করে নিজের পরিচয় গোপন রাখে এসআই মেহেদী হাসান। পরে সে জানায়, কিশোরীর একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও তার কাছে রয়েছে। এরপর কিশোরীর হোয়াটস্অ্যাপে ছবি ও ভিডিও পাঠায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম কিশোরীকে হোয়াটস্অ্যাপ নাম্বারে ফোন করে ও ম্যাসেজ দিয়ে আরও একান্ত ব্যক্তিগত ভিডিও ধারণ করে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে পাঠাতে বলে ওই এসআই। এছাড়া নানাভাবে কিশোরীকে ব্লাকমেইল শুরু করে। এরপর বিভিন্ন সময়ে সে কিশোরীর হেয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে সেইরকম ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পাঠাতে চাপ দেয়। কিন্তু কিশোরী এতে রাজি না হলে তার বন্ধু বান্ধব ও নিকট আত্মীয় স্বজনদের নিকট প্রেরণ করে এবং আরও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পাশাপাশি কু-প্রস্তাব প্রদান ও রুমমেট করার জন্য কিশোরীকে চাপ দিতে থাকে।
কিশোরীর একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচার ও প্রকাশ করে মানহানিরও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশের মাধ্যমে গত ১৫ নভেম্বর ১ হাজার টাকাও নেয় গ্রেফতার হওয়া এসআই। কিন্তু এরপর কিশোরীর কাছে আরও টাকা চাইলে সে বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে তারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ফাঁদ পেতে অভিযান চালিয়ে নগরের বাকলার মোড় এলাকা থেকে এসআই মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে।
এ নিয়ে পৃথক অপরাধে একমাসের মধ্যে কোতয়ালী থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল দুই এসআই। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর বিধবা নারীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে এসআই আবুল বাশার। গ্রেফতার হওয়া এসআই মেহেদি হাসানসহ থানার অপর এসআই ইব্রাহিম খলিলকে পর্যটকদের আটকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। সাময়িকভাবে বরখাস্ত অবস্থায় থাকা এসআই মেহেদি হাসান নগরীর স্ব-রোড বাকলার মোড় সংলগ্ন একটি বহুতল ভবনের তিন তলায় ভাড়া থেকে নানা অপরাধ করে আসছিল বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।