প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
‘অত্যন্ত আপত্তিকর’ বিষয়বস্তু থাকার অভিযোগে নিজ দেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিলো পাকিস্তানের সিনেমা ‘জয়ল্যান্ড’। তবে নতুন খবর হচ্ছে, সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিনেমাটি আগামীকাল (১৮ নভেম্বর) সিনেমাহলে মুক্তি পাবে। সিনেমাটির নির্মাতা সেলিম সাদিক ও তার ভক্তদের ক্ষোভের মুখে এক সপ্তাহের মাথায় সিনেমাটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে সিনেমার বেশ কিছু সেন্সর বোর্ড দ্বারা কেটে দেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সহযোগী সালমান সুফি সংবাদমাধ্যমকে বলেন ‘ছোট হলেও এটি বাক স্বাধীনতার পক্ষে একটি জয়। মূল্যবোধের দোহাই দিয়ে সৃজনশীলতার স্বাধীনতাকে কখনোই ক্ষুণ্ণ করা ঠিক নয়’।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ১৭ আগস্ট দেশটির সেন্সর বোর্ড ছবিটিকে ছাড়পত্র দিলেও সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, “সিনেমায় ‘অত্যন্ত আপত্তিকর’ দৃশ্য আছে, যেটি আমাদের সমাজের মূল্যবোধ এবং নৈতিক মানগুলির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং মোশন পিকচার অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৯-এর ধারা ৯-এ বর্ণিত ‘শালীনতা এবং নৈতিকতার’ নিয়মগুলির সঙ্গে স্পষ্টভাবে বিরোধিতা করে।”
‘জয়ল্যান্ড’-এর কার্যনির্বাহী প্রযোজনায় নোবেলজয়ী শিক্ষাবিদ মালালা ইউসুফজাই। তার প্রযোজনা সংস্থা ‘এক্সট্রাকারিকুলার’-এর তত্ত্বাবধানেই তৈরি হয়েছে এই সিনেমা। বিদেশি সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে ২০২৩ সালের অস্কার আসরের জন্য মনোনীত হয়েছে এই পাকিস্তানি সিনেমাটি।
‘জয়ল্যান্ড’ সিনেমাটি পাকিস্তানের লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার গল্পে নির্মিত। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যৌনতার প্রথাবদ্ধ ধারণার বিপরীতে দাঁড়িয়ে নির্মিত হয়েছে ‘জয়ল্যান্ড’ সিনেমা। যেখানে পিতৃতান্ত্রিক পরিবারের সদস্যরা পুত্রসন্তান জন্মের প্রত্যাশা করে। অথচ পরিবারের ছোট ছেলেটি বড় হয়ে এক তৃতীয় লিঙ্গের প্রেমে পড়ে। গল্প এগিয়ে যেতে থাকে, ভাঙতে থাকে যৌনতার সামাজিক ও প্রথাগত ধারণা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।