Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেই উপস্থাপিকার ওপর খেপেছেন জয়!

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২২, ৫:৩৬ পিএম

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মীর সাব্বিরের বিরুদ্ধে বুলিংয়ের অভিযোগ এনেছেন উপস্থাপিকা ইসরাত পায়েল। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বুধবার (১৬ নভেম্বর) নিজের আলোচিত সেই মন্তব্যের বিষয়টি স্পষ্ট করেন মীর সাব্বির। এদিকে মীর সাব্বিরের মতো একজন গুণী অভিনেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলায় খেপেছেন অভিনেতা, নির্মাতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়। এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

স্ট্যাটাসে শাহরিয়ার নাজিম জয় লিখেছেন, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে এবং কিছুটা দাবি খাটিয়ে অভিনেতা মীর সাব্বিরকে মঞ্চে কিছুটা মজা করার জন্য দাঁড় করালেন উপস্থাপিকা। বরিশালের ভাষায় মীর সাব্বির মজাও করলেন। তারপর সব শেষ। সবাই আনন্দ পেয়ে ঘরে গেল।

তিনি আরও লেখেন, উপস্থাপিকা বা কোনো মাধ্যম এই অনুষ্ঠান থেকে একটি ভাইরাল টপিক বানানোর জন্য মীর সাব্বিরের মজাটাকে পুঁজি করল। সারাদিন মীর সাব্বিরকে নিয়ে ট্রল। উপস্থাপিকা মীর সাব্বিরের বিরুদ্ধে কিছুটা অশালীনভাবেই বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন। আপনার যদি এতই আলোচনায় আসতে ইচ্ছে হয় আপনি আমার কাছে আসেন। এই বিষয়ে মীর সাব্বির আপনাকে অনেক দূর নিতে পারবে না। মাত্র দুই-তিন দিন। আমার অনুষ্ঠান আপনাকে এক বছর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রাখবে।

সতর্ক করে এই অভিনেতা লিখেছেন, নারীর পোশাক এবং নারীকে সম্মান করা এই বিষয়ে মীর সাব্বিরসহ আমাদের জেনারেশনের সকল অভিনেতাদের সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা আছে। মীর সাব্বিরকে নিয়ে ট্রল করেন অসুবিধা নাই। ভুলেও তাকে অসম্মান করার চেষ্টা করবেন না।

তার ভাষ্য, ট্রল কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি- বিষয়টা আপনাকে বোঝাতে চাই না। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে মীর সাব্বির যখন বিবাহিত বলেছে, তখন আপনার মন খুব খারাপ হয়েছে। তাই আপনি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মীর সাব্বির সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলছেন।

উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর মিসেস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মঞ্চে তাকে উদ্দেশ্য করে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় মীর সাব্বির বলেন, এই মাতারি তুমি এরম উদলা গায়ে দাঁড়ায়ে আছো কিয়েরলিগা। ওই সময় বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিলেও পরবর্তীতে অভিযোগ তোলেন পায়েল। তিনি নিজের ফেসবুক লাইভ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে মীর সাব্বিরকে নিয়ে অভিযোগ তুলে তাকে ক্ষমা চাইতে বলেন। এ নিয়ে মীর সাব্বির এরইমধ্যে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তার অবস্থার পরিষ্কার করেছেন। জানিয়েছেন, এক দেশের গালি, আরেক দেশের বুলি। এ কথা বলার পেছনে অভিনেতার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। উপস্থাপিকা তার শব্দের মানে বুঝতে পারেননি।



 

Show all comments
  • Rashed ১৭ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩৭ পিএম says : 0
    ফেসবুকে আপনি কি করছেন দেখুনঃ- ━⤵ ☞ফেসবুক আপনার জাহান্নামে যাওয়ার কারন হচ্ছে না তো? ⤵ ❥● আগামী ১০০ বছর পর অধিকাংশ ফেসবুক আইডির এর মালিকগুলো থাকবে মৃত। শুধু থাকবে তাদের কর্ম। ⤵আপনার দ্বারা নিজ আইডিতে/পেজে করা পোষ্ট, গ্রুপে এপ্রুফ করা পোষ্ট,শেয়ার করা পোষ্টের মাধ্যমে যারা বেপর্দা পিক,অশ্লীল নারী-পুরুষের পিক-ভিডিও,গান বাজনা দেখে চোখের যেনা করবে।অশ্লীলতা,প্রেম,নষ্টামি শিখে পাপ করবে ঐ সমস্ত লোকের পাপের অংশ আপনার আমলনায় যোগ হতে থাকবে। ☞ ❥● যারা মানুষকে পোষ্টে লিখে হারাম লাভ স্টোরি শিখিয়েছেন, তার শাস্তি তারা জাহান্নামে পাবেন। ⤵ ☞???? যারা অশ্লীল,বেপর্দা ও বেহায়াপনা মেয়েদের ছবি ও ভিডিও আপ্লোড করেছেন, করতে সহয়তা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে থাকবে এগুলা তার আমলনায়। ⤵ ☞???? যারা গান বাজনা,নাটক সিনেমার প্রচার ও প্রসার করেছেন, করতে সহায়তা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে থাকবে এগুলা তার আমলনামাই। ⤵ ☞???? যারা ইসলাম ধর্মের নামে মিথ্যা, ভুল, বানোয়াট বিষয়কে ইসলাম ধর্ম হিসাবে প্রচার করেছেন, তাদের শাস্তি আল্লাহ দিবেন। ⤵ ☞❀ আর যারা ফেসবুককে আল্লাহর বাণী ও ইসলাম প্রচারের মাধ্যম বানিয়েছে তাদের পুরষ্কার আল্লাহ দিবেন। ⤵ ???? ফেসবুকে কোনো অশ্লীল ছবি ও ভিডিও আপলোড দেওয়া থাকলে মৃত্যুর পরও তার পাপের বোঝা বাড়তে থাকবে। আর তার কবরে অনন্ত কাল ধরে পাপ পৌঁছতে থাকবে। ⤵ ???? ফেসবুক ভার্চুয়াল দুনিয়া হলেও এর হিসাব ও দিতে হবে কারণ এতে আপনি বাস্তব জীবনের সময়কেই নষ্ট করছেন। আর কেউ আল্লাহ ও তার রাসুল ﷺ এর বাণী প্রচার করলে, তার জন্য সদকায়ে জারিয়া পেতেই থাকবেন, কেয়ামত পর্যন্ত। আপনি জেনে রাখুন যে সৎকাজের পথ দেখায় সে সমপরিমান সওয়াব পায় ।আর যে গুনাহের পথ দেখায় গুনাহ করার রাস্তা করে দেয় সেও সমপরিমান গুনাহ পায়। যারা ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার পছন্দ করে, তাদের জন্য ইহকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ১৯) সৎকর্ম ও তাকওয়ার ব্যাপারে তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা কর, পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে পরস্পরের সহযোগিতা কর না আর আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদান কঠোর। সূরা আল মায়েদা,আয়াত 2 সতর্কবার্তা আর যারা আল্লাহর আয়াত প্রত্যাক্ষান করে তারাই বামপন্থী হতভাগা ।তারা আগুনে পরিবেষ্টিত হবে। (সূরা বালাদ 19-20) এবার আপনি চিন্তা করুন, আপনি কি করবেন?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ