Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্যান্সারে চুল পড়ে যাওয়ায় কাজ হারিয়েছিলেন লিসা রে

| প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড চলচ্চিত্র ‘কসুর’ ছবিটির কথা হয়তো কম-বেশি সবারই মনে আছে। ছবিটিতে অভিনয় করেছিলেন, আফতাব এবং লিসা রে। ছবিটি বক্সঅফিসে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল। তবে ছবিটির সাফল্যের পর অভিনেতা আফতাবকে একাধিক বলিউড ছবিতে দেখা গেলেও অভিনেত্রী লিসাকে আর দেখা যায় নি। যদিও বলিউডে এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি। যারা এক সময়ে সাফল্যের পথে হাঁটলেও মাঝপথে বলিউড থেকে অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছে। বহু বছর পর তাঁদের চোখের সামনে দেখলে দর্শকদের মনটাও যেন আবেগে ভরে ওঠে।

অভিনেত্রী লিসা রে তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তাঁর ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যাওয়ার কারণ। সম্প্রতি তিনি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করার বিষয়ে মুখ খুললেন, জানালেন এই মারণরোগের সম্মুখীন হওয়া কতটা ‘হৃদয়বিদারক’ ছিল তাঁর পক্ষে।

তিনি ২০০৯ সালে মাল্টিপল মায়লোমায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি প্রকাশ আরও করেছেন যে, কেমোথেরাপির পরে তাঁর সব চুল উঠে যায়। সেই কারণে আর ক্যামেরার সামনে ধরা দিতে পারেন নি নিজেকে। স্টেম সেল সার্জারির সময় তিনি একেবারেই ‘মৃত্যুর কাছাকাছি’ চলে গিয়েছেন। যদিও তিনি সেই সময় একটি শোতে উপস্থাপনা করেছিলেন, কিন্তু তাঁর চুল উঠে যাওয়ায় তাঁকে শো থেকেই রিজেক্ট করে দেওয়া হয়।
লিসা হিউম্যানস অফ বোম্বে-এর জন্য একটি দীর্ঘ নোট লিখে জানিয়েছেন, “আমি সর্বদা চলাফেরা করতাম। যেমন, আমি চেয়েছিলাম একটি বই লিখতে। এটি আমাকে নিজের সঙ্গে সংযোগ করাতে সাহায্য করেছিল। কিন্তু ক্যান্সার সবকিছু বদলে দিয়েছে। আমি স্টেম সেল সার্জারির সময় মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম, যা পুনর্জন্মের মতো মনে হয়েছিল। ক্যান্সারের সঙ্গে বেঁচে থাকার মতো বিষয় নিয়ে আমার একটি ব্লগ লেখার কথা মনে আছে। যেহেতু দক্ষিণ এশীয় সংস্কৃতিতে কলঙ্কটি খুব খারাপ ছিল, তাই বের হয়ে আসা খুব খারাপ অনুভূতি ছিল। লোকেরা আমার সততারও প্রশংসা করেছিল।”

তিনি যোগ করেছেন, “আমার চিকিৎসার পরে, আমি একবার একটি পাবলিক ইভেন্টের জন্য নকল চুল পরার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমার হাস্যকর মনে হয়েছে। আমি এটিকে সরিয়ে পুরো টাক হয়েই গিয়েছিলাম ওই ইভেন্টে। কেমোর পরে, আমি আমার চুল ছোট করে একটি ট্র্যাভেল শোতে অংশ নিয়েছিলাম। যাকে ‘কেমো কাট’ বলা হয়। কিন্তু চ্যানেলটি আমাকে প্রতিস্থাপন করে ‘লং’ চুল ওয়ালা মেয়ে নিয়েছিল। যা আমাকে হৃদয়বিদারক ছিল। এমনকি লিসা ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার ৩ বছর পরেও পুনরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে এবার তিনি কোনরকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই এই রোগটিকে হারাতে সক্ষম হয়েছেন। আপাতত লিসা গত ৯ বছর ধরে ক্যান্সার মুক্ত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ