Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আমজনতাকে উসকাতে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের গুজব! সমাবেশ বানচালের অভিযোগ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২২, ৬:৫১ পিএম

বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশের দিন শনিবার পরিহন ধর্মঘট নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে একটি মহল। অতি উৎসাহী হয়ে এমনটি করছে বলে দাবী করছেন সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রেবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলী আকবর রাজন। তিনি বলেন, একটি কুচক্রিমহল তথ্যহীন গুজব ছড়িয়ে জনমনে আতংক তৈরী করছে। সেই সাথে আমজনতাকে বিগড়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছে।

তিনি বলেন, এরকম সিদ্ধান্ত আমরা এখনো নেইনি। এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহনের চাপ উর্ধ্বতন কোন পক্ষ থেকে আসলে তাও জানতাম। কিন্তু এসবের আগেই ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে কিছু অনলাইন মিডিয়া। এরমাধ্যমে তারা সরকারের উপর আমজনতাকে উসকে দেয়ার চেষ্টা করছে হয়তো। তাদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ধর্মঘটের খবর ছড়িয়ে দেয়ার মানে হলো গণসমাবেশের প্রচার করা। গণসমাবেশের সহজ প্রচারের একটি মাধ্যমে হয়ে উঠছে ধর্মঘট ঘোষনা। কারন এই খাতের ব্যবহারকারী আমজনতা। তাদের নলেজে গনসমাবেশের খবর না থাকলে ধর্মঘটের দুভোর্গে প্রচার হয়ে যাবে, আগ্রহ বাড়বে।

এদিকে, সমাবেশকে বানচাল করতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে অভিযোগ করে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন- হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের পর মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ওসমানীনগরে বিএনপির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনার গাড়ি বহরে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা হয়েছে। নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। ওই খান থেকে আমাদের দুজন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া যতগুলো বিভাগে বিএনপি গণসমাবেশ করেছে সবগুলোতে আগে থেকে সরকারের নির্দেশে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সিলেটেও এমনটি হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন তারা। তবে কোনো বাধাই আমাদের সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পরবে না। সমাবেশ সফল করতে এককাট্টা হয়ে কাজ করছেন বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সব বাধা ডিঙিয়ে ১৯ নভেম্বর সিলেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ করবেন তারা। সাড়ে চার লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। অন্য বিভাগের মতো সিলেটেও পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হলে আগে আসা নেতাকর্মীদের থাকার জন্য নগরের প্রায় সবগুলো কমিউনিটি সেন্টার বুকিং দেওয়া হয়েছে। সিলেট নগরের সেবাহানিঘাট এলাকার আগ্রা, মানিকপীর রোডের মালঞ্চ, সাপ্লাই এলাকার নুরে আলা, পাঠানটুলা এলাকার সাজিদ আলীসহ অন্তত আটটি কমিউনিটি সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবগুলোই ১৮ নভেম্বর রাতের জন্য ভাড়া হয়ে গেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষে এগুলো বুকিং দেওয়া হয়েছে।

সিলেট জেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর পক্ষ থেকে নগরের অন্তত ২৫টি কমিউনিটি সেন্টার ১৮ নভেম্বর রাতের জন্য বুকিং নেওয়া হয়েছে। সিলেট জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো বিভাগে বিএনপি গণসমাবেশ করেছে সবগুলোতে আগে থেকে সরকারের নির্দেশে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সিলেটেও এমনটি হতে পারে এমন আশঙ্কা করছি। তবে কোনো বাধাই আমাদের সমাবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পরবে না।

অপরদিকে, সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটে ধর্মঘটের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বিএনপির গণসমাবেশের সময়ও গাড়ি স্বাভাবিকভাবে চলাচলের পক্ষে।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, আমাদের সমাবেশ বানচাল করতে নানাভাবে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। এসব বাধা ডিঙিয়ে আমরা সমাবেশে গণজোয়ার সৃষ্টি করবো। সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সমাবেশকে বানচাল করতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে। মঙ্গলবার ওসমানীনগরে আমাদের দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনার গাড়ি বহরে পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা হয়েছে। এছাড়া দুজন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ