Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

সরিষাবাড়িতে একরের পর একর ফসলি জমি বিলীন

এম এ মান্নান, সরিষাবাড়ি (জামালপুুর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ঝিনাই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে একরের পর একর ফসলী জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারণে প্রায় দুইমাসেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ধারাবর্ষা ও খাস কোম্পানি এলাকার মাঝামাঝি ভাটারা ইউনিয়নের পারপাড়া ঝিনাই নদীতে সরেজমিনে দিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। প্রতিকার না পেয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ধারাবর্ষা বাজার থেকে উত্তরদিকে ধারাবর্ষা ও খাস কোম্পানির মাঝামাঝি ভাটারা মৌজার পারপাড়া ঝিনাই নদীতে ড্রেজার মেশিনে প্রায় দুইমাস ধরে প্রকাশ্যে বালু বিক্রি চলছে। প্রতিদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এ ড্রেজিং। এতে একরের পর একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার মিলেনি।
স্থানীয় কৃষক আলাল, ফারুক, আজগর, বাবলু, রফিকুলসহ অভিযোগকারীরা জানান, ধারাবর্ষা গ্রামের আজিজুল আকন্দের ছেলে ছানু মিয়া ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন এবং পারপাড়া গ্রামের আফসার মন্ডলের ছেলে করিম মেম্বার সেসব বিক্রি করে যোগসাজশে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। পাশের সৈয়দপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক লালু মিয়া জানান, ড্রেজার মেশিনের পাশেই তাদের ছয়ভাই মিলে দেড় একর জমি রয়েছে। জমিগুলোতে বর্তমানে আলুসহ মওসুমি ফসল আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু বালু উত্তোলনের ফলে অধিকাংশ জমি নদীগর্ভে, বাকি জমিও হারানোর পথে।
কান্দারপাড়া গ্রামের কৃষক মজনু মিয়া জানান, বালু উত্তোলনের ফলে তার ৭৮ শতক জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করেন, উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নদীখেকোরা অবৈধ বালু উত্তোলন করায় লিখিত অভিযোগের দুইমাস পার হলেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, বিষয়টি শুনে আমি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম। তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, মেশিন বন্ধ আছে। জেলা প্রশাসক শ্রাবন্তী রায় মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ