রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মোঃ আকতারুজ্জামান, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) থেকে : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সরকারের আইনের কোন তোয়াক্কাই না করে ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এছাড়া গত বেশ কয়েক বছর আগ থেকে নিষিদ্ধ হওয়া বয়লার পদ্ধতির ইঁভাটায় তৈরি হচ্ছে ইট। পরিবেশ ক্ষতি করে এভাবে অবাধে কাঠ পোড়ানো এবং নিষিদ্ধ বয়লার পদ্ধতি ব্যবহার করে ইট প্রস্তুত করা হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নিশ্চুপ রয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী- হাইব্রিড হফম্যান, জিগজ্যাগ ও ভার্টিক্যাল শ্যাফট কিলন পদ্ধতির চিমনি বা পরীক্ষিত নতুন প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালালি কাঠ ব্যবহার করলে ভাটা মালিকের তিন বছরের কারাদ- এবং অনধিক তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধানও রয়েছে। এছাড়া এ আইনের অনেক আগেই নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয় বয়লার পদ্ধতিতে স্থাপিত ইটভাটাকে। জিকজ্যাক পদ্ধতির এসব ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কয়লা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর বয়লার পদ্ধতির ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে বেশিরভাগই কাঠ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এদিকে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ মতে উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ সড়ক থেকে কমপক্ষে আধা কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে। তবে সরকারের এসব আইনের কোন তোয়াক্কাই করছে না চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কয়েকটি ইটভাটা। সরেজমিনে উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের নবগ্রাম-বারাইশ এলাকার মধ্যবর্তী স্থানের ভাই ভাই ব্রিকস্ ে(ইটভাটা) গিয়ে দেখা গেছে, পরিবেশের ক্ষতি করে কৃষি জমি ও সড়কের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে ইটভাটা। ওই ইটভাটায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে ইট প্রস্তুত করা হলেও প্রশাসন এদিকে কোন নজর দেয়নি। এছাড়া ২০১২ সালের আগে সরকার বয়লার পদ্ধতি ব্যবহার করে ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধ করলেও ওই ভাটায় এখনও ব্যবহার হচ্ছে বয়লার পদ্ধতি। এতে বারোটা বাজছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবেশের। ওই ইটভাটায় গিয়ে আরও দেখা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনের কোন তোয়াক্কা না করে ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। বিভিন্ন ভাগে রাখা হয়েছে কয়েকশ মন কাঠের স্তূপ। শুধু কাঠ নয়, ওই ভাটায় পরিবেশের ক্ষতি কর পোড়ানো হচ্ছে গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ারও। এদিকে, শুধু ভাই ভাই ব্রিকস্ই নয় ওই উপজেলার আরও বেশ কয়েকটি ইটভাটায় এভাবে প্রকাশ্যে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেলেও স্থানীয় প্রশাসন কিংবা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। সরকারের আইন অমান্য করে প্রকাশ্যে কাঠ পোড়ানোর কারণ জানতে চাইলে ভাই ভাই ব্রিকস্রে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সাত্তার বলেন, আমাদের এই ইটভাটাটি বয়লার পদ্ধতির। যার কারণে প্রথমে কিছু কাঠ ব্যবহার করতে হয়। তিনি জানান, ইট পোড়ানোর কাজ শুরু হলে পরে আমরা কয়লা ব্যবহার করি। বয়লার পদ্ধতিতে ইট তৈরিতে প্রশাসনের কোন বাঁধা পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। গত ৩/৪ বছর প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন লোক এসে এ বিষয়ে কিছু বলেনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় মুন্সিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহফুজ আলম বলেন, অন্য কোন ইউনিয়নের কথা বলতে পারবো না। তবে আমার ইউনিয়নের মধ্যে ভাই ভাই ব্রিকস্ নামক ইটভাটাটি পরিবেশের ক্ষতি করে ইট প্রস্তুত করছে। যার কারনে গত চার বছর আমি ওই ইটভাটা কর্তৃপক্ষকে কোন ট্রেড লাইসেন্স দেইনি। তারা অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.সাইদুর রহমান বলেন, আমি এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। এছাড়া বিষয়টি আমার নজরেও আসেনি। তিনি জানান, খোঁজ নিয়ে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. ছামছুল আলম বলেন, আমার জানা মতে কুমিল্লা জেলার কোথাও বয়লার পদ্ধতির ইটভাটা নেই। আর এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে হলে আপনি অফিসে আসুন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।