Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মাদারীপুরে স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে হত্যার দায়ে কথিত কবিরাজের মৃত্যুদন্ড

মাদারীপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২২, ৬:৪১ পিএম

মাদারীপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী পরিত্যক্তা এক মহিলাকে হত্যার দায়ে এক ভন্ড কবিরাজকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন। এসময় আদালতে একমাত্র আসামী উপস্থিত ছিলেন। রায়ে মামলার বাদী, রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামীপক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।

মামলার বিতরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৬ মে মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর গ্রাম থেকে প্রেমের সম্পর্কের জেরে আব্দুল করিম কারীর স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে ফরিদা বেগমকে (২২) বাড়ী থেকে নিয়ে যায় শহিদুল মোল্লা নামে এক কথিত কবিরাজ। পরের দিন কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ ধুয়াসার গ্রামের কাদের কবিরাজের পেঁপের বাগান থেকে ওড়না দিয়ে প্যাঁচিয়ে রাখা ফরিদা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ওইদিনই কালকিনি থানায় শহিদুল কবিরাজকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই হান্নান কারী। মামলায় দীর্ঘ শুনানীতে ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি শেষে রায় দেয়া হয়। রায়ে ভন্ড কবিরাজ শহিদুল মোল্লাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হয়। সাথে আরো ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। রায়ের সময় আসামী উপস্থিত ছিলেন। রায়ে মামলার বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে আসামীপক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতে আপীল করবেন বলে জানিয়েছেন।

মামলার বাদী নিহতের ভাই হান্নান কারী বলেন, ‘গ্রাম্য কবিরাজীর নামে আমার বোনের সাথে প্রের্মের সর্ম্পক তৈরি করে শহীদুল মোল্লা। এক পর্যায়ে আমাদের পরিবার থেকেও তাদের বিয়ের বিষয় সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সে আমার বোনকে ডেকে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করে ওড়না প্যাচিয়ে মৃতদেহ একটি বাগানে রেখে দেয়। পরে আমরা তার মৃতদেহ উদ্ধার করি। মামলায় যে রায় দিয়েছে, তাকে আমরা খুশি। তবে রায়টা দ্রুত কার্যকর করার জোর দাবী জানাই।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে আদালতকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। ফলে আসামীকে মৃতুদÐ দেয়া হয়েছে। এতে আমরা খুশি। এভাবেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।’

আসামীপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. রেজাউল করিম বলেন, ‘মামলায় সরকারী কোন সাক্ষীর জবানবন্দি নিতে পারেনি আদালত। অনুমানের উপর নির্ভর করে রায় দিয়েছে। আমরা রায়ে সংক্ষুদ্ধ হয়েছি। তাই দ্রæতই উচ্চ আদালতে আপীল করবো যেন ন্যায় বিচার পাই।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ