Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নার্সারিতে ঘুরছে ভাগ্যের চাকা

| প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মোঃ গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে : দুপচাঁচিয়া উপজেলার নিবৃত্ত পল্লী এলাকা গোবিন্দপুরের শ্রীপুর গ্রামের সাইফুর ইসলাম (৩৮) নার্সারি বাগান করে এখন স্বাবলম্বী। যেমন চেষ্টা তেমন ফল বিষয়টি যেমন সত্যি আদি অনন্তকাল থেকে বলে আসছেন মুরব্বিরা। মানুষের অসাধ্য কোন কাজ নেই যা করা সম্ভব নয়। তবে থাকতে হবে সৎ ইচ্ছা ও প্রতিভা। তাই চেষ্টা করলেই যে ভাগ্যের পরিবর্তন করা যায় সেটারই প্রমাণ করেছেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের পুত্র সাইফুল ইসলাম (৩৮)। ২ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক সাইফুল ইসলাম পৈতৃক সম্পত্তি বলতে বসতবাড়ীসহ ৪ বিঘা জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। ৩ ভাই ১ বোন নিয়ে তাদের সংসার। এক সময় তাদের চরম অভাব অনটন চলতে থাকে। বাবা বেলাল হোসেনের ঐকান্তিক অনুপ্রেরনায় সাইফুল ইসলাম প্রায় ২০ বছর পূর্বে ১৯৯৬ সালে তাদের বাড়ী সংলগ্ন শ্রীপুর দিঘিরপাড়ে ৪ বিঘা জমিতে ভাই ভাই নার্সারি নামে একটি নার্সারি স্থাপন করে। বাবা ও ৩ ভাইসহ বাগানে বিভিন্ন ফলদ, জলদ, ঔষধি গাছের চারাসহ বিভিন্ন জাতের ফুলের চারা রোপণ করে। এক সময় তাদের ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটে। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে বিভিন্ন চারা ক্রয় করে। এ ছাড়াও সাইফুল বিভিন্ন হাটবাজার জনবহুল এলাকায় ভ্যানে ভ্রাম্যমাণ চারা ও ফুলের গাছ বিক্রয় করতে থাকে। এতে লাভও হয় প্রচুর। বর্তমানে তাদের ব্যবসার আরো প্রসার ঘটেছে। নার্সারি সংলগ্ন অন্যের ৪ বিঘা জমি পত্তন নিয়ে মোট ৮ বিঘা জমিতে নার্সারি বাগান গড়ে তুলেছে। বিশাল এই নার্সারি বাগানে তারা নিজেরা ছাড়াও ৫ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছে। সাইফুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, নার্সারি বাগান করে এখন সে-সহ তার পরিবারের সদস্যরা স্বাবলম্বী। এক সময় তাদের সংসারে অভাব অনটন থাকলেও এখন সংসারে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা। উপজেলা সদরের সিও অফিস বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ভ্রাম্যমাণ বিভিন্ন চারা ও ফুল বিক্রয়কালে সাইফুল ইসলাম আরো জানান, আর ১ দিন পরেই মহান বিজয় দিবস। এ জন্য তাদের ফুলের চাহিদা অনেক বেড়েছে। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসগুলো এলেই তাদের ব্যবসা ভালো হয়। এ সময় প্রচুর ফুল বিক্রি হয়। অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই দিবসগুলোতে প্রায় ৩ থেকে ৪ গুন লাভও হয়। সে আরো জানায়, প্রতি বছরে গড়ে এই নার্সারি থেকে সব খরচ বাদ দিয়েও ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা আয় করে থাকে। সরকারি সহযোগিতা পেলে আগামীতে তাদের এই ব্যবসার আরো প্রসার ঘটানোর আশা রয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় একটি ব্যাংক থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে বাগান প্রসারের কাজও শুরু করেছে। সরকারিভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করলে আরো বড় করে এলাকার অনেক বেকার সমস্যা সমাধান করতে পারবে বলে সে অভিমতও ব্যক্ত করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ