বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের রাউজানে হালদা নদী পাড়ের একটি গ্রামীণ সড়ক চিত্রাংয়ের প্রবল জোয়ারের তোড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায়। ইটবিছানো সড়কটির অন্তত পাঁচ থেকে সাত স্থান ভেঙে জমির সঙ্গে মিশে যায়। ফলে গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা হেঁটে চলাও বন্ধ হয়ে যায় গ্রামবাসির। দুই কিলোমিটার দূরের খাল বিলের পথ ঘুরে পাড়া থেকে বের হয়ে আবার সেই পথ পাড়ি দিয়ে ফিরতে হচ্ছে বাড়িতে।
এই চিত্র উপজেলার দক্ষিণ অংশের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোকামী পাড়া সড়কের। চিত্রাং তান্ডবের ২৫২/২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও সরকারীভাবে সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছিল না ওই গ্রামবাসির।
অবশেষে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সময়ে গ্রামের অটোরিকশাচালক, তরুণ, যুবক ও কিশোরেরা মিলে সড়কটি সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করেন। ২০ থেকে ২৫ জন পুরোদিন সড়কটি স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেন।
ঐ এলাকার সাংবাদিক প্রথম আলো প্রতিনিধি ইনকিলাবকে জানান প্রতি বর্ষায় কোন না কোন ঘুর্ণিঝড় বা প্রবল বর্ষণে পানির তোড়ে সড়কটির ভিবিন্ন স্থানে ভেঙে যায়।
ঐ সাংবাদিক সহ এলাকাবাসী দাবী করেন সড়কটি ভেঙে না যায় ওভাবে টেকসই করে বানিয়ে দেয়া হোক সরকারের পক্ষ থেকে।সরেজমিন দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫ জনের স্বেচ্ছাশ্রমিকের কেউ কেউ টুকরি,কেউ কোদাল,কেউ বালুর বস্তা আবার কেউ ইট কুড়িঁয়ে এনে ভাঙা সড়ক চলাচল উপযোগীতে কাজ করছেন। তাঁরা পেশাদার সড়ক বানানোর শ্রমিক না হলেও সকাল থেকে বিকেল কাজ করে সড়কটি চলাচল উপযোগী করতে সক্ষম হয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানাগেছে, মোকামী পাড়া সড়কসহ উপজেলায় ৩৬ টি সড়কের একাধিক স্থানে ভেঙে গেছে চিত্রাংয়ের তান্ডবে। কিন্তু আবেদন করেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। যার ফলে ভাঙা সড়ক সংস্কার করা যাচ্ছেনা এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
শ্রম দেয়া অটোরিকশাচালক মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, গত ২০ থেকে ২৫ দিন ভাঙা সড়কের কারণে রাস্তায় গাড়ি বের করতে পারিনি। বিকল্প দুই কিলোমিটার বিল ঘুরে হে়টে বের হতে পারলেও গাড়ি বের করতে না পারায় আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছিলাম।স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে কাজ করা তরুণ সমাজ কর্মি এস এম কায়সার হামিদ ইনকিলাবকে বলেন, নিজেরা চাইলে মহৎ কাজ করে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে পারি। তাঁরা টানা কাজ করে মোটামুটি চলাচল উপযোগী করলেন অনুপযোগী সড়কটি।
স্থানীয় ইউপির সাবেক সদস্য মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন,গ্রামটির বিশাল জনগোষ্ঠি যোগাযোগ ব্যবস্থায় পিছিয়ে আছে দীর্ঘদিন। এই সড়ক টেকসই মানের কাজ করে মানুষের দুর্ভোগ লাগবের জন্য সরকারী বরাদ্দ দেয়ার দাবী জানান তিনি। রাউজান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিয়াজ মোর্শেদ জানান চিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রণালয়ে আবেদন করলেও কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি এখনো। যার ফলে ভেঙে যাওয়া গ্রামিণ সড়ক সংস্কারে তাঁরা কিছু করতে পারছেন না।বরাদ্ব আসলে এসব কাজ দ্রুত করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।