রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লা উত্তর সংবাদদাতা : রাজনীতিতে আলোচিত কুমিল্লা-১ আসনের দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের বারবার কমিটি ঘোষণা নিয়ে স্থানীয় শীর্ষ নেতারা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালের সম্মেলনের পর থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত পৌনে দু’বছরে এখানে তিনটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বশেষ কমিটিতে এলাকার ত্যাগী, জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ নেতাদের বাদ দিয়ে অজনপ্রিয় ও অনভিজ্ঞ নেতাদের শীর্ষ পদগুলোতে আসীন করায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বইছে। তৃনমূল নেতারা বলছেন, তারা নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেই, তারা স্থানীয় এমপি মেজর জেনারেল (অবঃ) সুবিদ আলী ভূইয়া পুত্র উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে মাঠে দলের জন্য কাজ করছেন এবং করবেন। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জেনারেল ভূইয়াকে দল থেকে মানোনয়ন দিলে ৩৪ বছর পর দাউদকান্দি আসনটি আ.লীগের ঘরে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অবঃ) সুবিদ আলী ভূইয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এখানকার সাংগঠনিক ভিত তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত। অথচ গুটিকয়েক শীর্ষ নেতা দলকে নিয়ে কেন সাত-পাঁচ খেলায় মত্ত তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাদের উদ্দেশ্য আদর্শ নিয়েও দলে প্রশ্নবিদ্ধ। এদিকে অদক্ষ অজনপ্রিয় ও বিতর্কিত নেতাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বাদ দিয়ে জনপ্রিয় ত্যাগী ও অভিজ্ঞ নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে আসিন করার জন্য সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এদিকে প্রথম কমিটির সভাপতি ছিল আবুল হাসেম সরকার সাধারণ সম্পাদক বশিরুল আলম মিয়াজি। দ্বিতীয় কমিটির সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবিব চৌধুরি লিল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম। সর্বশেষ কমিটিতে আহসান হাবিব চৌধুরীকে সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন সিকদারকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করেন। দীর্ঘ পরীক্ষিত এবং ত্যাগি পোড়খাওয়া অভিজ্ঞ নেতা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট শফিউল বসর ভান্ডারীসহ ১০ থেকে ১২ জন নেতাকে সর্বশেষ কমিটিতে না রাখায় এবং অপরদিকে এলাকার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালামকে সেক্রেটারীর পদ থেকে বাদ দিয়ে রাজনীতিতে যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন সিকদারকে সাধারণ সম্পাদক করাসহ এমন আরো ১০/১২ জনকে দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ায় শীর্ষ নেতাদের মধ্যে চরম বিভক্তির রূপ নেয়। মহিউদ্দিন সিকদারকে সেক্রেটারীর পদ থেকে অবিলম্বে বাদ দিয়ে ত্যাগি ও জনপ্রিয় নেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি উঠেছে তৃণমূল থেকে। কারণ মহিউদ্দিন সিকদার ১২ বছর ধরে যুবলীগের আহ্বায়ক থেকেও একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাছাড়া এলাকাতে তার তেমন জনপ্রিয়তা নেই। গত ২৬ নভেম্বর উপজেলা কমিটি জেলা কমিটির অনুমোদন লাভ করে। ৩০ নভেম্বর কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ মেজর জেনারেল (অবঃ) সুবিদ আলী ভূইয়া। সভায় নতুন কমিটির সেক্রেটারী মহিউদ্দিন সিকদার উপস্থিত হননি। পরে তিনি গত ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি চাইনিজ হোটেলে পাল্টা সভা ডাকেন। এতে করে নেতাকর্মীরা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকার অজ্ঞাত স্থানে সভা করে প্রমান করল আসলে তারা জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন। বর্তমান কমিটির সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবিব চৌধুরী লিল মিয়া ইনকিলাবকে বলেছেন, দলে কোন বিভক্তি নেই, আছে অভিমান। সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, দলেতো দীর্ঘকাল ধরেই বিভক্তি রয়েছে তবে আমরা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কোনো গ্রুপেই নেই আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক আ.লীগের কাজ করি। ইউপি চেয়ারম্যান এবং আগের কমিটির সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সালাম বলেন, একটি গ্রুপের পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রে অভিযোগ করেছে দেখি কি সমাধান আসে তারপর মন্তব্য করব। বর্তমান সেক্রেটারী মহিউদ্দিন সিকদার বলেন, দলে বিভক্তি নেই আছে বিচ্ছিন্ন গ্রুপ। এদিকে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তৃণমূলের নেতৃত্বধানকারী স্থানীয় এমপিপুত্র কুমিল্লা উত্তর জেলা আ.লীগের প্রভাবশালি নেতা এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজর মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে আ.লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছেন অন্যদিকে অপর গ্রুপের নেতাদের বিজয় দিবসের কোন প্রোগ্রামে দেখা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।