প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
প্রখ্যাত বাউল সঙ্গীতশিল্পী শফি মন্ডল গুরুর নির্দেশে খেলাফত গ্রহণ করেছেন। ‘এসো হে প্রভু নিরঞ্জন’ এই বাণী প্রতিপাদ্যে তার প্রয়াত গুরু সুলতান ফকিরের আদেশে খেলাফত নিয়েছেন শফি মন্ডল। ইহজাগতিক লোভ, লালসা, মায়া-মমতা ও মোহ ত্যাগ করে এই পথ ধরেছেন তিনি। কুষ্টিয়াস্থ দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদে নিজ আখড়াবাড়িতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আখড়াবাড়িতে স্বস্ত্রীক এই খেলাফত গ্রহণ করেন। তার খেলাফত গ্রহণ অনুষ্ঠানে আগমন ঘটে অসংখ্য সাধু, বাউল এবং লালন অনুসারীর। গত শুক্রবার বেলা ১১টায় নিজেদের দীনহীন করে শুধুমাত্র সাদা কাফনের কয়েক টুকরো কাপড় পরিধান করে শফি মন্ডল ও তার স্ত্রী জরিনা খাতুন অনুষ্ঠানিকভাবে খিলকা পরে গুরু দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে খেলাফত গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত পরিবারের সদস্য, বাউল সাধু ও দর্শকদের কান্নায় সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। চোখ বেঁধে সাতপাক ঘুরিয়ে দীনহীন করে তাদের গুরুদীক্ষায় দীক্ষিত করা হয়। পরানো হয় সাদা কাপড়। এর আগে শফি মন্ডল তার লালন ফকিরের বাণী উদ্ধৃত করে বলেন, দিন থাকিতে দিনের সাধন কেন করলি না, সময় গেলে সাধন হবে না। তাই বর্তমান সময়কে সুন্দর কাজে লাগাতে না পারলে, পরবর্তীতে এসবের জন্য পস্তাতে হবে। এপারেও যিনি ওপারেও তিনি। ভিন্নতা কোথায়? তিনি বলেন, আমার গুরু সুলতান ফকির বলেছেন, শফি সময় হয়েছে দীক্ষা নিতে হবে। তাই গুরুর আদেশ পালন করছি। গুরুকৃপা ছাড়া কি মুক্তির পথ মেলে? গত বৃহ¯পতিবার থেকে দেশের নানা প্রান্ত থেকে লালন ভক্ত, বাউল, সাধুগণ শফি মন্ডলের আখড়া বাড়িতে জড়ো হন। রাত ৯টায় মুড়ি দিয়ে আপ্যায়নের পর শুরু হয় সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠান। এতে লালনের বাণী পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী শফি মন্ডল, লায়লা, পলাশ, শাহাবুল, লিনাসহ অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ। সুরের মুর্ছনায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো আখড়াবাড়ির আঙিনা। পূণ্যসেবা গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠান এবং সাধুদের মিলন মেলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।