রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে ভিকটিমের কাছ থেকে ঘুস আদায় করেছেন আবু হেনা মোস্তফা নামে এক এসআই। কাঙ্খিত ঘুস না পাওয়ায় আদালতে মামলা দায়েরের ৫ মাস পরে কোন আসামিকে গ্রেফতার করেনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু হেনা মোস্তফা রেজা। উল্টো ভিকটিমের পরিবারকে ওই এসআই বলছে আসামির খোঁজ পেলে তাকে জানাতে। তাছাড়া আসামিরা কোথায় আছে সে ব্যপারে খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়ে ওই এসআইকে জানালে আসামিদের তখন গ্রেফতার করা হবে। মামলার তদন্তকারী এসআইয়ের এমন কথায় ভিকটিম পরিবারের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। এসআই আবু হেনা মোস্তফা রেজার বিরুদ্ধে আসামি ধরতে ঘুষ আদায় ও নানা টাল বাহানা করায় ভুক্তভোগী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) অফিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল গভীর রাতে মুরাদনগর উপজেলার পশ্চিম সোনাউল্লাহ গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে নেশাদ্রব্য পান করিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন একই গ্রামের মৃত. আলম মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া। এসময় ভিকটিম নারীর অশ্লীল ছবি মোবাইলে ধারন করেন সুমনের সহযোগী পশ্চিম সোনাউল্লআহ গ্রামের ফিরোজ মোল্লার ছেলে মহিউদ্দিন ও উপজেলার পুস্কনিপাড় গ্রামের কাশেম মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া। এ নিয়ে ভিকটিম নারী কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং ৩ কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলে। পরে মামলাটির তদন্তভার পান মুরাদনগর থানার এসআই আবু হেনা মোস্তফা রেজা। ভিকটিম ওই নারী জানায়, মামলা দায়ের পর এখন আতঙ্কে আছি আসামিরা আমার পরিবারের ক্ষতি করার জন্য পায়তারা করে আসছে। ইতোমধ্যে মামলার ২নং আসামি মহিউদ্দিন বিদেশে চলে গেছে, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নি। আসামি গ্রেফতার করার জন্য এসআই আবু হেনা মোস্তফা রেজা দফায় দফায় মোট ২৮ হাজার টাকা নিয়েছে আমাদের কাছ থেকে। এখন পর্যন্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তা কোন আসামি গ্রেফতার করেনি। উল্টো আমাদের বলে আসামিদের ফুসলিয়ে বাড়িতে এনে আটক করে উনাকে ফোন দেওয়ার জন্য অথবা আসামিদের আমরা খুঁজে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে জানানোর জন্য। আমরা এখন নিরুপায় পুলিশ বাকি আসামিদের গ্রেফতার না করলে যেকোনো মূহূর্তে আমার সন্তানদের ও পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলবে আসামিরা। আমরা ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও আসামি গ্রেফতার না করার বিষয়ে মুরাদনগর সার্কেল অফিসে অভিযোগ করলে ওই এসআই আমাদের এক স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাছে ফোন করে আমাদের শাসিয়েছেন।
এ বিষয়ে এসআই আবু হেনা মোস্তফা রেজা বলেন, এ মামলার একজন আসামি জামিনে আছে। আসামির মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। এবং ভিকটিমের পরিবারের কাছে আসামিদের কললিস্টও দিয়েছি আসামি কোথায় আছে জানার জন্য। পুলিশ তো আর ইচ্ছা করলেই সব আসামি ধরতে পারে না, আমি আসামি ধরার জন্য ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। ভিকটিম থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে বলেন আমি ভিকটিমের কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি। সার্কেল অফিসে অভিযোগ দেওয়ার বিষয়ে আমার কিছুই জানি না। তদন্তের রিপোর্ট প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে মামলার চার্জশিট দ্রুত দেওয়া হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) পিযুষ চন্দ্র দাশ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত আছি। কয়েকদিন আগে ভিকটিমের স্বামীও আমাকে মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে অবগত করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।