রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোর মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের একযুগেও হাসপাতাল নির্মাণ না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে যশোরবাসী। গত রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি। আসামি ২৪ নভেম্বর যশোরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে সামনে রেখে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
রোববার দুপুরে যশোর কালেক্টরেট চত্বরে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে সমবেত হন। বিশিষ্ট শ্রমিকনেতা মাহবুবুর রহমান মজনু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাস্টার হাফিজুর রহমান, ইকবাল কবির জাহিদ, হারুণ অর রশীদ, অ্যাড. মাহমুদ হাসান বুলু, ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, হাচিনুর রহমান, দীপংকর দাস রতন, অ্যাড. আমিনুর রহমান হীরু, সাবেক কাউন্সিলর মফিজুর রহমান হিমু, সাজেদ রহমান বকুল, তসলিম উর রহমান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১১ সালে যশোর মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়। ২০১০-১২ সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। তখন কলেজের কাজ চলত যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। ২০১৬ সালের আগস্টে শহরের শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় হরিণার বিলে নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজ ভবনে কার্যক্রম চালু হয়। ৭৫ বিঘার নিজস্ব ক্যাম্পাসের কলেজে বর্তমানে ইন্টার্নসহ চারশতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। তবে দীর্ঘ প্রায় ১২ বছরেও এখানে চালু হয়নি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এতে ব্যাহত হচ্ছে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম। ব্যবহারিক শিক্ষার জন্য তাদের যেতে হয় ৫ কিলোমিটার দূরের যশোর জেনারেল হাসপাতালে।
নেতৃবৃন্দ আরও উল্লেখ করেন, যদিও যশোরের পরে স্থাপিত সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলেও যশোরে না হওয়ায় ক্ষুব্ধ যশোরবাসী। যশোরসহ, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও মাগুরার মানুষ বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এতে হাসপাতালে রোগীর চাপ অনেক বেড়ে যায়। ফলে ভালো চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ। মেডিকেল কলেজ চালু থাকলে সদর হাসপাতালে ৭৫ শতাংশ রোগীর চাপ কমে যেত। চিকিৎসাসেবার মানও বৃদ্ধি পেত বলে মনে করেন তিনি। তাই যশোর মেডিকেল কলেজে দ্রুত ৫শ’ বেডের হাসপাতল নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অবিলম্বে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।