বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লোহাগড়ায় স্ত্রী মমতাজ বেগমকে জবাই করে হত্যার দায়ে কসাই স্বামী হেদায়েত শেখ (৫৫)কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দন্ডাদেশ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ কেরামত আলি। গতকাল সোমবার আদালত এ আদেশ দেন। ফাঁসির দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী হেদায়েত শেখ লোহাগড়া উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলেএবং পেশায় একজন কসাই।
নিহত মমতাজ বেগমের ছেলে রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনার ৫/৬ বছর আগে আমার পিতা হেদায়েত শেখ আঞ্জুয়ারা বেগম নামের এক মহিলাকে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। বিবাহের পর থেকে আঞ্জুয়ারা আমার মা মমতাজ বেগমকে খুন করার হুমকি দিয়ে আসছিল। ২০১২ সালের ৮ ফ্রেরুয়ারি রাতে খাবার খেয়ে আমার মাসহ আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে উঠে মাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করতে থাকি। এ সময় পিতা হেদায়েতের লুঙ্গিতে রক্ত দেখে কারণ জানতে চাই। তখন তিনি জানান রাতে গরু জবাই করেছেন তাই লুঙ্গতে রক্ত লেগেছে। এর পর পরই হেদায়েত শেখ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম পালিয়ে যায়।
পরে রবিউলসহ তার আত্মীয়-স্বজনরা পদ্মবিলা মাঠের মধ্যে মমতাজ বেগমের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। মৃতদেহের গলা কাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। এ ঘটনায় রবিউল বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের স্বামী হেদায়েত শেখ, খলিল শেখ ও আঞ্জুয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি হেদায়েত শেখকে ফাঁসির আদেশ ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার দন্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণা কালে হেদায়েত শেখ পলাতক রয়েছে । মামলার অপর দুই আসামি খলিল শেখ ও আনজুয়ারা বেগমকে খালাস দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।