Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাউফলে ভেকু মেশিন দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ

বাউফল উপজেলা (পটুয়াখালী )সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২২, ৪:৩৯ পিএম

পূর্ব বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেকু মেশিন (মাটি খনন যন্ত্র ) দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের নগরের হাট এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৫মাস আগে নগরের হাট এলাকার ১৫৮৮ খতিয়ানের ৩০৪ নম্বর দাগের পৌনে ছয় শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হন একই এলাকার মো. মিজানুর রহমান ওরফে স্বপন সরদার (৪১)। ওই জমিতে তিনি সম্প্রতী পাকা ভবন নির্মাণ করেন এবং ওই ভবনে মেসার্স সরদার এন্টারপ্রাইজ নামে রড, সিমেন্টের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম করে আসছিলেন। গত সোমবার রাতে একটি ট্রাকে করে ভেকু মেশিন এনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভবনের ছাদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, সম্প্রতি ওই জমি ভবনসহ নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন ওরফে মধু আল আমিনের (৩৫) কাছে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার জন্য জমি ও ভবনের মালিক মিজানুরের কাছে প্রস্তাব দেন। এতে মিজানুর রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন আল আমিন।
মিজানুর রহমান অভিযোগ করেছেন, আল আমিন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্ব কিনে নিতে চেয়েছিলেন। আমি রাজি না হওয়ায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে হুমকি দিয়ে বলেন, জমিসহ তার কাছে ভবন বিক্রি করতে হবে। তা না হলে তাকে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। কোনো প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আল আমিন মাটি খনন যন্ত্র দিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এতে তার ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য আল আমিনের মুঠোফোনে কল দিলে বলেন,‘অভিযোগ সত্য না। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনি এক বছর পর্যন্ত এলাকায় যেতে পারছেন না। ওই জমির প্রকৃত মালিক তিনি (আল আমিন)। তিনি শুনেছেন মিজানুর রহমান তার জমিতে জোরপূর্বক কাজ করছেন। সে বিষয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছেন এবং আদালত উভয় পক্ষকে স্থিতিবস্থায় থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ