Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দপুরে বিসিকে প্লট না থাকায় কৃষি জমিতে শিল্প-কারখানা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

শিল্পে অগ্রসর জেলা নীলফামারী ও সৈয়দপুরে ছোট্ট পরিসরে গড়ে ওঠা বিসিক শিল্প নগরীতে আর কোনো শিল্প স্থাপনের জায়গা না থাকা ও জেলায় নির্দিষ্ট শিল্প নগরী না থাকায় যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি ও ভারী শিল্প কারখানা। এতে একদিকে বায়ু দূষণ হচ্ছে অন্যদিকে কমছে আবাদি জমি। বিসিকে প্লট না থাকায় কৃষি জমিতে গড়ে উঠছে শিল্প কারখানা
কৃষি প্রধান জেলা নীলফামারী এখানকার অধিকাংশ জমি তিন ফসলী। বর্তমানে কৃষির পাশাপাশি শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসছে শিল্প উদ্যোক্তারা। কিন্তু শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তেমন সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন উদ্যোক্তারা।
শিল্প কারখানায় জেলাকে সমৃদ্ধ করার স্বার্থে ১৯৯০ সালে সৈয়দপুরে ১১ একর জমি নিয়ে সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তোলা হয়। শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মধ্যেই ৯২টি প্লটের সবগুলোতেই শিল্প কারখানা গড় ওঠে। কিন্তু পরবর্তীতে নতুন নতুন শিল্প উদ্যোক্তারা শিল্প প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এলেও শিল্প নগরীতে তারা কোনো জায়গায় পাননি।
এমনকি দীর্ঘ কয়েক বছরে বিসিকের কর্মকর্তারাও প্লট সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেননি। তবে এটি জেলার শিল্প উন্নয়ন রুখে রাখতে পারেনি। বিসিকে প্লট না থাকায় ও নির্দিষ্ট শিল্প নগরী না থাকায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অপরিকল্পিতভাবে শত শত একর তিন ফসলি জমিতে ছোট-বড় ও মাঝারি শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। এতে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে শিল্প কারখানার মালিকরা বলছেন, বিভিন্ন সমস্যা থাকার পাশাপাশি বিসিকে জায়গার স্বল্পতা ও শিল্প নগরী না থাকায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দামে জমি কিনে প্রতিষ্ঠান গড়তে হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) উপ-ব্যবস্থাপক হুসনে আরা খাতুন বলেন, কৃষি জমির ক্ষতি যাতে না হয়, সে জন্য জেলায় আমরা দ্রুত নতুন একটি বিসিক শিল্পনগরী স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠায় নীলফামারীতে দেশি বিদেশি উদ্যোক্তাদের সমাগম বাড়ছে। অচিরেই বৃহৎ শিল্প নগরী স্থাপন হলে জেলার কৃষি জমিগুলো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
নীলফামারীর চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজসের সূত্র মতে, জেলায় এখন প্রায় হাজারেরও ওপরে ছোট-বড় ও মাঝারি শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় লক্ষাধিক মানুষ কাজ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ