বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা : কলারোয়ায় কিশোরী আফরোজা আত্মহত্যা ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীর বিচারের জন্য কয়েকটি বিষয় খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মনে করছে। ব্যভিচারের মিথ্যা অভিযোগে জরিমানা ও দু’জনকে এক সংগে বাধার ছবি ফেসবুেেক প্রকাশে গত শনিবার ১০ ডিসেম্বর বিকালে এই কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। সরেজমিনে নিহত কিশোরী আফরোজার মা আনোয়ারা সহ নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক কয়েক ব্যক্তি জানায়, শুক্রবার ৯ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজ চলাকালে ঘরের ভিতরে ফ্লাক্সিলোডর ফোনটা এনে দেয়ার কথা বলে বালু ও ফ্লাক্সিলোড ব্যবসায়ী পঙ্গু হাসান। আফরোজা ভিতরে ফোন আনতে গেলে পঙ্গু হাসান দরজা তালাবদ্ধ করে।
এসময় তালাবদ্ধ ঘরে ট্রাক ড্রাইভার লম্পট নিমাইকে দেখে আফরোজা হতভম্ব হয়ে সম্মানের ভয়ে কাকুতি মিনতি করে দরজা খুলতে বলে।
কয়েক গজ সামনে আমগাছ স্প্রে কাজে নিয়োজিত রাজু ও জিয়া নামে দুই যুবক তা দেখে পাশের বাড়ির হাফিজুলকে নিয়ে এই ঘরে দ্বিতীয় তালা আটকে হৈ চৈ শুরু করে। এ সময় পাশে মসজিদে নামাজরত মুসল্লিরা ঘটনা স্থলে এসে হাজির হয়। সিরাজুল নামে আর এক নেতা এসে সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম খবর দিয়ে চৌকিদার ডেকে আফরোজা ও নিমাই চক্রবর্তী (পলাশ) এর হাত এক সংগে বেধে প্রকাশ্য রাজপথে বাজারের ভিতর দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। বিচারে নির্দোষ বলে চেয়ারম্যান আফরোজাকে তার মায়ের হাতে তুলে দেয়। আর ট্রাক ড্রাইভার নিমাইকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক ইউপি মেম্বর জানায়।
এদিকে প্রকাশ্য রাজপথে দু’জনের হাত এক সংগে বাধা ছবি তুলে নিয়ে ফেসবুকে তুলে ধরে স্থানীয় সাধন ঋষির পুত্র জয়দেব। এতে আফরোজা নষ্টা মেয়ে হিসাবে চারিদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলশ্রæতিতে কিশোরী আফরোজা অপমানে ক্ষোভে দুঃখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এই ঘটনায় স্থানীয় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।