রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে রাজীবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, সেচ্ছাচারিতা ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ এনেছেন ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর উক্ত বিদ্যালয়ের কমিটি অনুমোদন হয়। কমিটি অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির সভা আহ্বান করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। উক্ত কমিটির কতিপয় সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে কৌশলে সভার রেজুলেশন বইতে অগ্রীম স্বাক্ষর নিয়ে নিজে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
শুধু তাই নয় সভাপতির অনুপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক আজগার আলী তার একক সিদ্ধান্তে কমিটির সভা করে নিয়োগ বিধি উপেক্ষা করে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করেন। এরপর কতিপয় প্রার্থীকে উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করান। ওই পরীক্ষার রেজাল্ট শিটে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে ওই পদে আল আমিন নামে একজনকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেন। পরিচ্ছন্ন কর্মীর বেতন প্রদানের কাগজপত্রেও সভাপতির স্বাক্ষর জাল করেন।
অভিযোগে আরও প্রকাশ, গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসেও ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত করেনি প্রধান শিক্ষক। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির সভা না করেই ১১ আগস্ট উক্ত বিদ্যালয়ের জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী ও অফিস সহায়ক পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। তারপরও এলাকার যোগ্য প্রার্থীরা আবেদনপত্র প্রধান শিক্ষকের নিকট জমা দিতে গেলে উল্লিখিত পদে আগেই লোক নির্বাচন করা হয়েছে বলে তিনি তাদের আবেদনপত্র জমা না নিয়ে ফেরত পাঠান। প্রধান শিক্ষক অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে তার আপন শ্যালক ও অফিস সহায়ক পদে তার মেয়ে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে তার নিজস্ব লোককে নেওয়ার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এদিকে প্রার্থীরা এক হাজার করে টাকা ব্যাংক ড্রাফট করেও আবেদনপত্র জমা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বাধ্য হয়ে তারা সভাপতির নিকট আবেদনপত্র জমা দেন। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আজগার আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে সভাপতি কি অভিযোগ দিয়েছে তা আমি জানিনা। তবে আমি কোন অনিয়ম, দুর্নীতি করিনি।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এটিএম মাহবুব আলম শাহিন বলেন, স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের জন্য প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডল বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।