বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বুড়িগঙ্গায় উদ্ধারকৃত লাশ এর পরিচয় মিলেছে। লাশটি আওয়ামী লীগ নেতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কৃষি খামার ব্যবসায়ী দূরন্ত বিপ্লব । তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়নাতদন্তকারি আবাসিক চিকিৎসক ডা: মফিজ উদ্দিন প্রধান নিপুন। তিনি জানিয়েছেন, লাশের মাথার পেছনে ও বুকে গভীর আঘাতের ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। হাসপাতালের মর্গে লাশ দেখে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন স্বজনরা। এমন মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের কেউই।
ছোট ভাই দূর্জয় জানান, রাজধানির মোহাম্মদপুরে ছোট ভাইয়ের বাসায় মাকে দেখতে যাওয়ার কথা বলে গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানিগঞ্জে নিজ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন দূরন্ত বিপ্লব। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নিখোঁজের আগে বিপ্লবের মোবাইল ফোনের সর্বশেষ লোকেশন ছিল রাজধানির কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ এলাকায়।
এ ঘটনার পর বিভিন্ন স্থানে খোঁজখঁজি করে দূরন্ত বিপ্লবের কোন সন্ধান না পেয়ে ৯ নভেম্বর তারা কেরানিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর দুইদিন পর ১২ নভেম্বর (শনিবার) বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পাগলা নৌ থানা পুলিশ। খবর পেয়ে রাত বারোটার দিকে দুরন্ত বিপ্লবের পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: মফিজ উদ্দিন প্রধান নিপুন জানান, লাশের বিভিন্ন স্থানে গভীর আঘাতের চিহ্ন দেখে হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, লাশের মাথার পেছন দিকে আঘাতের গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া বুকের দুই পাশেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাথার পেছনে ভারী কোন বস্তু দিয়ে আঘাতের পর ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ফাইনাল রিপোর্ট পাওয়ার পর আর ও নিশ্চিত করে বলা যাবে। বাকীটা পুলিশ বা অন্যান্য তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে বের করবে। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যায়, এটি হত্যাকান্ড। ময়নাতদন্তের পর নিহত দূরন্ত বিপ্লবের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত দূরন্ত বিপ্লবের ছোট ভাই দূর্জয় বলেন, আমার ভাইয়ের কোন শত্রæ ছিল কিনা আমাদের কারো জানা নেই। এই হত্যাকান্ডের পেছনে কারা জড়িত সেটাও আমরা ধারণা করতে পারছি না। আমরা কেরানিগঞ্জ থানায় জিডি করেছিলাম। সেখানে মামলা হবে। পুলিশ তদন্ত করে বের করবে। তবে আমরা আমার ভাই হত্যার ন্যায়বিচার চাই।
স্বজনরা জানান, দুরন্ত বিপ্লব কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় উপকমিটিরও সদস্য ছিলেন। কেরানীগঞ্জে স্ত্রী ও পনের বছর বয়সের এক কন্যাকে নিয়ে তিনি বসবাস করতেন। সেখানে কৃষি খামারের ব্যবসা করতেন তিনি। তিন ভাই বোনের মধ্যে বিপ্লব ছিলেন সবার বড়। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।