Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিল্পা শেঠীকে দেশে এনে মিরর মিডিয়ার কর ফাঁকি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ৬:৫১ পিএম

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমতি ছাড়া বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠীকে দেশে এনে আয়কর ফাঁকি দিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান মিরর মিডিয়া অ্যান্ড প্রোডাকশন লিমিটেড। এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের তদন্তে এ অনিয়ম ধরা পড়েছে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, কর ফাঁকির বিষয়ে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল তদন্তে নামে এবং বিস্তারিত তদন্ত করে মিরর মিডিয়া অ্যান্ড প্রোডাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী শাজাহান ভূঁইয়া রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ফাঁকি দেওয়া আয়কর আদায়ের চেষ্টা চলছে।

এনবিআর সূত্র জানায়, মিরর লাইফস্টাইল ও বিজনেস ম্যাগাজিন' ভারতীয় অভিনয় শিল্পী শিল্পা শেঠীকে গত ৩০ জুলাই ঢাকার হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত বিজনেস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি চেয়ে গত ২২ মে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রাণালয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামত চেয়ে চলতি বছরের ১ জুন পত্র প্রেরণ করে। এনবিআরের সঙ্গে আয়োজকদের আলোচনা চলমান অবস্থায় আয়োজকরা ২৭ জুলাই লিখিতভাবে অনুষ্ঠান স্থগিত হওয়ার বিষয়ে জানায়। কিন্তু কোনো রকম আয়কর প্রদান বা অনুমতি না নিয়েই ৩০ জুলাই শিল্পা শেঠীর উপস্থিতিতে হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপর কর ফাঁকির বিষয়ে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল তদন্তে নামে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শিল্পা শেঠী কুন্দ্রা গত ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় মিরর ম্যাগাজিন ম্যাক্স শপার্স প্রেজেন্স আয়োজিত বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস বিজনেস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২২-এ প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় পৌঁছান অভিনেত্রী। এরপর রাজধানীর হোটেল শেরাটনে রাত ৮টায় মূল অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় ৪০ জন সেরা লিডারের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন শিল্পা।



 

Show all comments
  • K. a. H oque ১৫ নভেম্বর, ২০২২, ৮:০২ এএম says : 0
    What is the need of bringing Indian actress in Bangladesh??? As we r very much in demand of foreign currency. People who have made wealth in this country are mostly corrupt. They don't feel how a great majority of people are passing their days. These corrupt people should not waist foreign currency for their comfort, gain & satisfaction so lavishly.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ