বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রোগাটে চেহারা।এদের অধিকাংশই বহিরাগত। রয়েছে পুরুষের পাশাপাশি নারীও। কারো বাড়ি জয়পুরহাট, কারো বিরামপুর, পার্বতীপুর বা পাঁচবিবিতে।ওরা ছিন্নমুল নয় ছন্নছাড়া। গৃহহীন নয়,গৃহছাড়া। মাদকের কারণে পরিবার থেকে, সংসার থেকে, সমাজ থেকে বিতাড়িত।যেখানেই রাত, সেখানেই কাত। কখনো রেলস্টেশনে,কখনো দোকানের বারান্দা বা পরিত্যাক্ত ভাঙ্গাচুরা ঘরেই তাদের ঠিকানা।এদের দেখা মিলবে দিনাজপুরের সীমান্ত ঘেঁষা হিলি রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাটে। তারা চুরি করে হোক. কখনো ভিক্ষুকের বেশে,কখনো বা সুইপারের বেশে হাত পেতে যা পায় তা দিয়ে নেশার অর্থ সংগ্রহ করে। উদ্যেশ্য একটাই নেশার টাকা।পেটে খাবার থাক বা না থাক টান দিতে হবেই হোরোইনের পাইপে। আজ শুক্রবার ( ১১ নভেম্বর) হিলির বিভিন্ন রাস্তাঘাট,রেলস্টেশন,বাসষ্ট্যান্ড,পানামা পোর্টের গেটসহ মাদকের আখড়াগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
হিলি রেলস্টেশনে কথা হয় মাদকসেবনকারী আয়নাল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, তার বাড়ি পার্বতীপুর থানার ঝুপড়িপাড়া এলাকায়। সে হেরোইনে আসক্ত। প্রথমে শখের বসে দু’এক টান দিতে দিতে এখন পুরোপুরি আসক্ত হয়ে পড়েছে। পরিবার থেকে বেশ কয়েকবার মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তারপরও ছাড়তে পারেনি নেশা। বর্তমানে সে পরিবার থেকে বিচ্ছন্ন। নেশার টাকার জন্য সুইপারের কাজ করে। হেরোইন আসক্ত সুফিয়া বেগম বলেন, ভাইরে কি আর বলবো দুখের কথা। এক ছেলেকে ভালবাসতাম। সেই আমাকে এই অন্ধকার জগতে ঠেলে দিয়েছে। এখন সেও আসক্ত, আমিও আসক্ত। যদিও দু’জনের বিয়ে হয়েছে।সন্তান নেই। সারাদিন দু’জনই মানুষের কাছে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে যা রোজগার করি। নেশা করতেই শেষ।দু’জনই এখন গৃহহারা।কোন আত্মীয়স্বজন আমাদের আশ্রয় দেয় না। যেখানে রাত, সেখানেই কাত (শুয়ে)থাকি।
হিলি রেলস্টেশন এলাকার মাসুদ রানা বলেন, এই মাসকাসক্তরা ট্রেনে বিনা টিকেটে বিভিন্ন জায়গা থেকে হিলিতে এসে নেশা করে অন্য ট্রেনে ফিরে যায়। আবার কেউ কেউ হিলিতেই থেকে যায়।
মধ্যবাসুদেবপুর গ্রামের তারিকুল সরকার বলেন, হিলির চুড়িপট্রি গ্রামে বেশ কয়েকটি চিহিৃত বাড়িতে হেরোইন,ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি হয়। স্থানীয় মাদকসেবীদের পাশাপাশি অন্য জায়গা থেকে মাদকাসক্তরা এসে ওই বাড়িতে নিয়মিত মাদক সেবন করে।
চুড়িপট্রি গ্রামের লুৎফর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি এই গ্রামে মাদক বিক্রি হয়।প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিাযান চালালেও বন্ধ হয় না। মাদক সেবনের পর মাদকসেবীরা কখনো মাদক বিক্রেতার বাড়িতে,কখনো খোলা মাঠে কখনো মানুষের দোকানের বারান্দায় শুয়ে থাকে। তারা মাদকের টাকার জন্য অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে।
হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সায়েম মিয়া বলেন,পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত আছে।তথ্য পেলেই মাদক বিক্রেতাদের বাড়িতে অভিযান চালনো হচ্ছে।ইতোমধ্যেই কয়েকজন মাদক বিক্রেতাকে মাদকসহ আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আর মাদকসেবীদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।