Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত গ্যাস কূপ থেকে পুনরায় গ্যাস উত্তোলন শুরু

প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা, মিলবে তেল ও কনডেনসেট

বিয়ানীবাজার (সিলেট) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ নভেম্বর, ২০২২, ৭:১০ পিএম | আপডেট : ৭:১৯ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০২২

সিলেটের বিয়ানীবাজারের একটি পরিত্যক্ত গ্যাসকূপ পুনরায় খনন করে আশানুরুপ তেল, গ্যাস ও কনডেসনেসট পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। খননের মাত্র দুই মাসের মাথায় এই সফলতার খবর বৃহস্পতিবার জানান বিয়ানীবাজার গ্যাস কূপ -১ এর কর্মকর্তারা।

বাপেক্স জানায়- বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রের পরিত্যক্ত ১ নম্বর ক‚পে আবারও গ্যাসের মজুদ পাওয়া গেছে। এ গ্যাস ক্ষেত্র থেকে খনন করে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘন ফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিয়ানীবাজারের এই কুপে খনন শুরু করে বাপেক্স।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের অধীন বিয়ানীবাজার গ্যাসক্ষেত্রে দুটি ক‚প রয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর ক‚প থেকে ১৯৯৯ সালে উৎপাদন শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফের ২০১৬ সালের শুরুতে উৎপাদন শুরু হয়ে আবার ওই বছরের শেষদিকে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা এই কূপে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে আবার খননকাজ শুরু হয়।

খনন কাজ শুরুতে ধারণা করা হয়েছিলো এ কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ মিলিয়ন বা ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। তবে খনন শেষে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শাহিনুর ইসলাম আরও বলেন- ‘আরও কিছু কার্যক্রম শেষে শিগগিরই আমরা এ কূপ থেকে উৎপাদন শুরু করতে পারবো। খনন শুরুর আগে ডিপিপিতে ধরা হয়েছিলো এখানে প্রতিদিন ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলতে পারে। তবে এখন মনে হচ্ছে আরও বেশিই পাওয়া যাবে।’ এছাড়াও এখান থেকে তেল ও কনডেনসেটও পাওয়া যাবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

তিনি জানান, ‘সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) অধীন বিয়ানীবাজারের কুপ ছাড়াও গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা-৮ ও গোয়াইনঘাট-১০ নম্বর কূপ খনন এবং রশিদপুরে ১টি পাইপলাইন স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের কাজ শেষে এসজিএফএলের গ্যাস উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া দুটি প্রকল্পের আওতায় বিয়ানীবাজার ফিল্ড এবং ব্লক-১৩ ও ১৪-এর আওতায় ডুপিটিলা, বাতচিয়া, হারারগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও সিলেট সাউথে ত্রিমাত্রিস সিসমিক জরিপ কাজ সম্পন্নের পথে।’

প্রকৌশলী শাহিনুর ইসলাম আরও জানান- ‘এতে ২০২৩ সালের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। সব প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২০২৫ সালের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড থেকে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ১৬৪ মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাওয়ার আশা রয়েছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ