Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কর্ণফুলীর তীরে ড্রাই ডক নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ

উচ্ছেদ অভিযানের দাবিতে মাঝ নদীতে অনশন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

চট্টগ্রাম বন্দরের ধারক কর্ণফুলী নদীর তীরে কর্ণফুলী ড্রাই ডক লিমিটেডসহ আশপাশের সব স্থাপনার নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। গতকাল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্ণফুলী নদীসহ জেলার অন্যান্য নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয় দখল ও দূষণ সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দেয়া হয়। এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে আগামী সাত দিনের মধ্যে নদী রক্ষা কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনাও দেয়া হয়।
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, কর্ণফুলী নদী বাংলাদেশের লাইফ লাইন। এই নদী দিয়ে দেশের ৯৫ শতাংশ আমদানি-রফতানি পরিচালিত হয়। কর্ণফুলী নদীর প্রবাহ বা নাব্যতা যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, আনোয়ারার বদলপুরা এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির পাশে কর্ণফুলী ড্রাই ডকসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি নদী দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে।
মাঝ নদীতে অনশন
কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে দুই শতাধিক সাম্পানে মাঝ নদীতে অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা এ অনশন কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনসহ পাঁচ সংগঠন। নিজেদের খেয়াপারাপার বন্ধ রেখে একের পেছনে এক সাম্পান বেঁধে তপ্ত রোদেও অটল ছিলেন সাম্পান মাঝিরা।
অনশনে একাত্মতা ঘোষণা করে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী বলেন, দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কর্ণফুলী দখল, দূষণ করে পঙ্গু করা হচ্ছে। দূষণে ৭০ প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়েছে। নদী ও তীর দখল করে গড়ে উঠেছে একের পর অবৈধ স্থাপনার জঞ্জাল। দেখার কেউ নাই। তাহলে কি আমরা ধরে নিব এই দেশে প্রশাসন নেই? আগামি ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করুন। না হয় আপনাদের তা করতে বাধ্য করা হবে।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের উপদেষ্টা মেরিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর নোমান আহমদ সিদ্দিকি বলেন, প্রাচ্যের রাণী কর্ণফুলী বাংলাদেশের প্রাণ প্রবাহ। লুসাই সৃষ্ট কর্ণফুলীর বাঁকে বাঁকে রয়েছে নান্দনিক বৈচিত্রতা। অতীতের নির্মল স্বচ্ছ কর্ণফুলী এখন দখল ও দূষণে মারা পড়ছে। ৪০ লক্ষাধিক মানুষের বর্জ্য কর্ণফুলীতে পড়ছে। যেটা মেনে নেয়া যায়না। দশ বছর আগের ৯১০ মিটারের কর্ণফুলী এখন ৫১০ মিটার। আজকে মৃতপ্রায় কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা অচিরেই উচ্ছেদ করতে হবে। এতে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পানি পান করিয়ে অনশন ভঙ্গ করান প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ