Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাত্র ১৫০ দিনে কোরআন মুখস্থ করলো নাঈম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩২ পিএম

মাত্র ১৫০ দিনে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়ে চমক দেখালো কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সাড়ে নয় বছর বয়সী শিশু জান্নাতুল নাঈম ফাহাদ। নাঈম উপজেলার জাঙালিয়া ইউনিয়নের মিরুককান্দি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী মো. মোখলেছুর রহমানের ছেলে। সে পাকুন্দিয়া পৌরসভার চরপাকুন্দিয়া এলাকার দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়া মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী। এ প্রতিষ্ঠান থেকেই সে মাত্র ১৫০ দিনে পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেছে।

দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়া মাদরাসা সূত্রে জানা গেছে, শিশু জান্নাতুল নাঈম ফাহাদ ২০২১ সালের ১ জানুয়ারিতে মাদরাসায় ভর্তি হয়। আরবি হরফ চেনা থেকে শুরু করে নাঈম এখান থেকে শিক্ষা শুরু করেন। মে মাস থেকে কোরআন মুখস্থ করতে শুরু করেন নাঈম। মাত্র ১৫০ দিনেই নাঈম কোরআন মুখস্ত শেষ করেছেন। দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মুফতি মো. শরিফুল ইসলাম জানান, আমাদের মাদরাসায় হরফ চেনা শুরু থেকে শিশু জান্নাতুল নাঈম ফাহাদ পড়াশোনা করেছে। তবে হিফজ শুরু করার পরই আমরা ফাহাদের মধ্যে তার প্রতিভার ঝলক দেখতে পাই। সে মাত্র ১৫০ দিনে হিফয সম্পন্ন করে নাঈম চমক সৃষ্টি করেছে। এর আগে আমাদের মাদরাসা থেকে এতো অল্প সময়ে কেউ হিফয সম্পন্ন করতে পারেনি। সে খুব ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির ছেলে।

তিনি আরও জানান, ফাহাদের ঐকান্তিক ইচ্ছা, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রচেষ্টা ও পরিবারের সহযোগিতায় আল্লাহর অশেষ রহমতে সে এই মহা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। আমি তার উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করছি। সে যেন বড় হয়ে দেশবাসীর সেবা করতে পারে আল্লাহ কাছে এই দোয়াই করি। শিশু জান্নাতুল নাঈম ফাহাদের মা আঁখি আক্তার জানান, নাঈম আমার একমাত্র ছেলে এতো অল্প সময়ে কোরআন মুখস্থ করেছে তাতে আমারা আনন্দিত। নাঈমের বাবা প্রবাসী তিনি শুনেও অনেক খুশি হয়েছেন। আমাদের ছেলের জন্য সবার কাছে দেয়া চাই।



 

Show all comments
  • Abu Abdullah ১০ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩২ এএম says : 0
    CONGRATULATION
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ সেলিম ১০ নভেম্বর, ২০২২, ১০:৩৯ এএম says : 0
    আমি দোয়া করি নাঈম তুমি আল্লাহর কোরআন নিয়ে এগিয়ে যাও। তুমি অনেক দুর যেতে পারবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তোমাকে সে সম্মান দান করেছেন। তুমি এবং তোমার বাবা-মা, তোমার ওস্তাদজির জন্য আমার শুব কামনা রইল। তোমার মত এমন একটি ছেলে যেন প্রতিটি পরিবারের ঘরে ঘরে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন তৈরী করেন। সর্বশেষ আমি আমারে একমাত্র ছেলের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে কোরআনে হাফেজ হিসাবে কবুল করেন আমিনঃ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ