ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে আশ্রয়ন প্রকল্পের ২৮টি গৃহ এবং উপকারভোগীদের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের কেবল একটি ইট-পাথরের ঘর দেননি, দিয়েছেন একটি আশ্রয়। এই আশ্রয়ে থেকেই আপনারা সমাজের অন্য সবারমতো মাথা উঁচু করে বসবাস করবেন। আপনারা হয়ে উঠবেন আত্মমর্যাদা সম্পন্ন এবং স্বনির্ভর। এখানেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, আপনাদের পরিশ্রম, সততা মেধার মাধ্যমে আরও এগিয়ে যাবেন আমি এই কামনা করি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আশ্রয়নের ২৮টি গৃহ পরিদর্শন শেষে আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন তিনি। ডিসি এনামুল হক আরও বলেন, এখানে যারা উপকারভোগী রয়েছেন তাদের সাথে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। তারা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের গৃহ পেয়ে অত্যন্ত খুশি। উনারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বস্তুত আশ্রয়ন প্রকল্পের এই গৃহ নির্মাণের প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত নিজস্ব চিন্তার ফসল।
উনি চান বাংলাদেশে একটি মানুষও যেন গৃহহীন, আশ্রয়হীন না থাকেন। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন আশ্রয়হীন ও গৃহহীন মানুষগুলোকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে। এই ক্ষেত্রে তিনি সফল। এ সময় জেলা প্রশাসক আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী উপকারভোগীদের মাঝে হাঁস-মুরগীর বাচ্চা এবং ফলজ গাছের চারা বিতরণ করেন।
তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত এ সময় বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আপনার নির্দেশনা মোতাবেক তারাকান্দায় কাজ করেছি। প্রত্যেকটি কাজের সময় আন্তরিক দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। এখানে যারা উপকারভোগী রয়েছেন তারা একদিন এই সেমিপাকা ঘর থেকে অনেক বড় জায়গায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে এই কামনা করি।
আশ্রয়ন প্রকল্পে গৃহ উপহার পাওয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী জয়নাল আবেদিন (৪০) বলেন, আমি প্রতিবন্ধী মানুষ আমার একটি পা অচল। আমি অনেক কষ্টে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতাম। আমার বসবাসের কোন ঘর ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে একটি ঘর দিয়েছেন। আমি উনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।
বক্তব্য রাখেন, তারাকান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ফজলুল হক, ভাইস-চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নয়ন, বালিখাঁ ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আলম রাজু। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকারিয়া আলম তালুকদার, তারাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুল আলম শিশিরসহ উপকারভোগীরা।