Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

তীব্র শীতে বিপর্যস্ত চাটমোহর ও নীলফামারীর জনজীবন

| প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক : চাটমোহর ও নীলফামারী ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পাবনার চাটমোহরে টানা কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা আর আর্দ্র আবহাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত সূর্যালোকের অভাবে মানুষের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা দেখা গেছে।  ইতোমধ্যে বিভিন্ন সবজি গাছের পাতা বিবর্ণ হয়ে বাদামি ও কালচে হয়ে কুঁকড়ে ঢলে পড়ে মারা যাচ্ছে। টানা কয়েকদিনের ঘন কুয়াশার কারণে  আলুতে আর্লি লেট বাইট বা ধসা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে নানা ধরনের ছত্রাকজনিত রোগের আগমন ঘটছে। গত কয়েক দিনের অব্যাহত ঘন কুয়াশা আর আর্দ্র আবহাওয়ায় কারণে প্রচ- শীতে মানুষসহ প্রাণিকুল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কুয়াশা আর শীতের কারণে বিশেষ করে  শিশু ও বৃদ্ধদের  কোল্ড ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ক্লিনিকে প্রতিদিন শীতজর্নিত রোগীদের ভিড় বাড়ছে। গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা তীব্র শীতে অঞ্চলে গরম কাপড়ের দাম বেড়ে গেছে। বিকেল হওয়ার সাথে সাথে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে আর বেলা ১১টা পর্যন্ত এই কুয়াশা থাকে সূর্যের আলো দেখা মিলছে না। হেড লাইট জালিয়ে ধীরগতিতে সড়কে যানবাহন চলছে। সন্ধ্যার পর শহরের রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। চাটমোহর উপজেলাসহ চলনবিলাঞ্চলের সবকটি উপজেলার বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য প্রাণীকুল  সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যে রয়েছে।
নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীতে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে।  গত পাঁচদিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে নীলফামারী জেলা। সেই সাথে বয়ে চলা হিমেল বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। এতে করে চরম বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। কনকনে ঠা-া আর হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছেন তারা। কনকনে ঠা-ার কারণে অনেকে কাজে যেতে পারছেন না। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকছে পথ-ঘাট। রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশাপাত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর পরেই ফাঁকা হয়ে পড়ছে রাস্তা-ঘাট। ঘন কুয়াশার কারণে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনের বেলায় যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এদিকে শীতবস্ত্রের অভাবে শীতার্ত মানুষজন খড়কুটে জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে বয়স্ক ও শিশুরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীদের ভিড় বাড়ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ